বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদেরকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য যুবলীগই যথেষ্ট: হানিফ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:০১ পিএম, ১৩ মে ২০২৩ শনিবার | আপডেট: ০৮:২৩ পিএম, ১৩ মে ২০২৩ শনিবার
বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আজ ১৩ মে শনিবার, বিকাল ৩টায়, ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি। সঞ্চালনা করেন-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেন, বিএনপির বাংলাদেশের জনগণের ওপর ভরসা নাই। এই কারণে তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশী প্রভুদের কাছে গিয়ে ধর্ণা ধরছে। যদি এদেশের জনগণ বিএনপির সাথে থাকতো তাহলে বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে থাকতে হতো না। তাদের নেতা-কর্মীরা আন্দোলন-সংগ্রাম করে তাকে ছাড়িয়ে নিতো।
তিনি আরও বলেন, অতীতে বিএনপি জামাতের আন্দোলনকে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা যেভাবে প্রতিহত করেছিল আগামী দিনেও বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে তাদের সন্ত্রাসীদেরকে উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য যুবলীগই যথেষ্ঠ। এদেশের মানুষ কোন অগ্নিসন্ত্রাসীদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীরা দেশের বিরুদ্ধে, মানুষের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। যারা সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, মাদককারবারী তাদেরকে নিয়ে তারা পল্টনে সমাবেশ করছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে শেখ হাসিনার প্রসংশা সারা বিশ্বে। যে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থ বন্ধ করে দিয়েছিল, সেই বিশ্ব ব্যাংকের সভাপতির হাতে নিজেদের টাকায় তৈরি পদ্মা সেতুর স্ক্রেচ তুলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এটাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাই বলতে চাই, যদি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দেশ ও সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে জামাত-বিএনপি ষড়যন্ত্র করে তাহলে তাদেরকে রাজপথেই কঠোরভাবেই প্রতিহত করবে যুবলীগ।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. জসিম উদ্দিন মাতুব্বর, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান চপল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মীর মোঃ মহিউদ্দিন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা মো. খলিলুর রহমান সরদার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফজলে রাব্বী স্মরণ, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
কেআই//