ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৭ ১৪৩১

নবজাগরণে জনপ্রিয় হচ্ছে যোগ-মেডিটেশন

ডা. ডালিয়া নাসরীন

প্রকাশিত : ০৫:৪১ পিএম, ১৯ মে ২০২৩ শুক্রবার

প্রশান্তির আবেদন সার্বজনীন। এ এক চিরন্তন সত্য। আর এ-যুগে প্রযুক্তির যথেচ্ছ ব্যবহার ও অমিতাচারী জীবনযাপন যখন মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে অসহনীয় স্ট্রেস, বিষণ্ণতা আর নানা মনোদৈহিক রোগ-ব্যাধির দিকে। ক্রমশ ফিকে হয়ে পড়ছে আমাদের পারিবারিক সামাজিক সম্পর্কগুলো। চিরকাঙ্ক্ষিত প্রশান্তির প্রয়োজনটা আজ অনুভূত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। তাই বিশ্বজুড়ে এখন বাড়ছে মেডিটেশন ও যোগচর্চার জনপ্রিয়তা।

এ-কালের স্বনামখ্যাত স্কটিশ ইতিহাসবিদ, লেখক ও সমালোচক উইলিয়াম ড্যালরিম্পল তার একটি নিবন্ধে (আন্ডার দি স্পেল অব ইয়োগা, দি নিউইয়র্ক রিভিউ অব বুকস, ৬ মার্চ ২০১৪) উল্লেখ করেন, বর্তমানে আনুমানিক দুই কোটি আমেরিকান নিয়মিত যোগচর্চা করেন। 

পাশ্চাত্যের পাশাপাশি সারা পৃথিবীতেই আধুনিক মানুষের মনোদৈহিক সুস্বাস্থ্য এবং সার্বিক কল্যাণে আত্মসন্ধান ও আত্ম উন্নয়নের এ চর্চাটি পেয়েছে নতুন মাত্রা। সে ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ সম্প্রতি ২১ জুনকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ঘোষণা করেছে।পাশাপাশি, বিভিন্ন সংগঠন পালন করছে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস– ২১ মে তে। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে?

যোগ-মেডিটেশন চর্চা করে সত্যিই কি কোনো কাজ হয়? আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্র কি যোগধ্যানের বৈজ্ঞানিক উপকারিতা সমর্থন করে? এমনি নানা প্রশ্ন পাশ্চাত্যের চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের আচ্ছন্ন করে রেখেছে সেই ষাটের দশক থেকে। রোগ নিরাময়ে যোগধ্যানের কার্যকারিতা প্রত্যক্ষ করার আগপর্যন্ত তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল-সুস্থ হতে হলে গিলতে হবে মুঠো মুঠো ওষুধ কিংবা শরণাপন্ন হতে হবে ছুরি-কাঁচির।

যোগব্যায়ামের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কতটুকু, তা বের করার জন্যে গত ৫০ বছরে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। ১৯৭৫ সালে সর্বপ্রথম নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বের প্রভাবশালী মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট। তাতে বলা হয়, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যোগব্যায়াম অত্যন্ত কার্যকরী।

এরপর একে একে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল, জার্নাল অব আমেরিকান মেডিকেল এসোসিয়েশন, জার্নাল অব আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজি, জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল অনকোলজি-সহ বিশ্বের প্রথমসারির বহু মেডিকেল জার্নালে যোগধ্যানের কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য গবেষণায় সারাবিশ্বে নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ যোগব্যায়ামকে বিকল্প চিকিৎসাব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং যোগ-মেডিটেশনের প্রসারে তারা এ পর্যন্ত বরাদ্দ করেছে প্রায় ১০ কোটি ডলার।

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের একদল গবেষক ১৭ হাজার রোগীর ওপর গবেষণা পরিচালনা করেন। তারা দেখেন, যেসব রোগী ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যোগ-মেডিটেশন চর্চা করেছেন, তাদের চিকিৎসা-ব্যয় কমে গেছে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত। অর্থাৎ যোগচর্চা বছরে জনপ্রতি ২,৩৬০ ডলার বা প্রায় দুই লক্ষ টাকা সাশ্রয় করে।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে পরিচালিত একাধিক গবেষণায় দেখা যায়, যোগ-মেডিটেশন চর্চার ফলে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ হয়ে উঠেছে সুতীক্ষè ও সুসংহত। সেইসাথে স্মৃতিশক্তি, সহনশীলতা ও আত্মসম্মানবোধ বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলাফল ভালো হচ্ছে এবং শ্রেণিকক্ষে তাদের আচরণ আগের চেয়ে মার্জিত। শিক্ষার্থীদের রাগ ক্ষোভ স্ট্রেসও কমে গেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, মেডিটেশন মানুষকে সচেতন করে তোলে সার্বিকভাবে। বদলাতে সাহায্য করে মনোদৈহিক অস্তিত্বের গভীর থেকে। এর পাশাপাশি নিয়মিত মেডিটেশনের ফলে আমাদের দেহকোষ ও শারীরবৃত্তীয় কর্মকাণ্ড গভীরভাবে প্রভাবিত হয় এবং রোগ নিরাময়ে এটি পালন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

এসব নানা কারণে পাশ্চাত্যে ক্রমশ বাড়ছে যোগব্যায়ামের প্রতি আগ্রহ। ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দু-কোটি মানুষ নিয়মিত যোগব্যায়াম চর্চা করত। ইয়োগা জার্নাল প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, পাঁচ বছরের মাথায় যোগব্যায়াম চর্চাকারীর সংখ্যা দেড়গুণ বেড়ে তিন কোটি ৭০ লক্ষতে দাঁড়িয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার সাড়ে ১১ শতাংশ।

যোগ-মেডিটেশন সুস্থতা ও তারুণ্যের জন্যে দীর্ঘ গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, শরীরকে পেশিবহুল করে নির্দিষ্ট আকৃতি দেয়ার প্রত্যাশায় করা ভারী ব্যায়াম বা অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে যোগচর্চা সুস্থতার জন্যে  বেশি কার্যকর। ভারী ও পেশিবহুল শরীর তৈরি করতে গিয়ে আবেগের ভারসাম্যহীনতা, স্বতঃস্ফূর্ততা হ্রাস এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধিসহ নানা জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।

আর যোগচর্চায় পেশী মজবুত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গের স্বতঃস্ফূর্ততা বাড়ে। কোলেস্টেরলের পরিমাণ, ওজন ও আবেগ নিয়ন্ত্রণে আসে। কারণ যোগচর্চা এন্ডোক্রাইন সিস্টেমের বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনের পরিমাণ সুষম করে।

১২ মে ২০১৫ নিউরোপ্রোটেক্টিভ ইফেক্টস অব ইয়োগা প্র্যাকটিস’ শিরোনামে একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয় ফ্রন্টিয়ার্স ইন হিউম্যান নিউরোসায়েন্স জার্নালে। এতে বলা হয়, মস্তিষ্কের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা নির্ভর করে গ্রে-ম্যাটারের পরিমাণের ওপর। বয়স বাড়ার সাথে সাথে মস্তিষ্কে এই গ্রে-ম্যাটারের পরিমাণ কমতে থাকে। ফলে শারীরিক সমস্ত কার্যক্রমের গতিও কমতে থাকে। এজন্যেই চল্লিশোর্ধ হওয়ার সাথে সাথে অনেকের খাওয়া, চলাফেরা, স্মৃতি ইত্যাদি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজে আসে ধীরগতি।

কিন্তু স্নায়ুবিজ্ঞানীরা দেখেছেন, সপ্তাহে যারা চার থেকে ২০ ঘণ্টা করে যোগচর্চা (যোগাসন দমচর্চা মেডিটেশন) করেন, ৫০ বছর বয়সেও তাদের মস্তিষ্কের গ্রে-ম্যাটারের পরিমাণ ২৫ বছর বয়সী যুবকের সমান। অর্থাৎ যোগচর্চাকারীরা ৫০ বছর বয়সেও দৈনন্দিন কাজে ২৫ বছরের যুবকের মতোই স্বতঃস্ফূর্ত। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২৫-এর পর যে-কোনো বয়সে যোগচর্চা শুরু করলে আট সপ্তাহের মাথায় এই পরিবর্তন শুরু হয় এবং কয়েক মাসের মধ্যে চর্চাকারীর জীবনে স্থায়ী হয়। তাই সুস্থতা ও দীর্ঘ তারুণ্যের জন্যেই প্রয়োজন যোগ-মেডিটেশন। 

আধুনিক মানুষের জীবনচর্চা
হাজার বছর আগে এ অঞ্চলের সাধক-মুনি-ঋষিদের উদ্ভাবিত ‘যোগ’-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো ধ্যান বা মেডিটেশন। পৃথিবীর সব প্রধান ধর্মেই গুরুত্বের সাথে মেডিটেশনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এটি এখন আর নিছক ধর্মীয় কোনো বিষয় নয়।  মেডিটেশন প্রকৃত অর্থে এখন একটি আধুনিক জীবনচর্চা, যা মানবীয় গুণাবলির বিকাশ ঘটায়। মানুষকে ধীরস্থির এবং তার মনকে স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন করে তোলে। আবেগীয় ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে মেডিটেশন। মনোযোগকে করে লক্ষ্যভেদী। হৃদয়ে সৃষ্টি হয় কল্যাণচেতনা, ভালবাসা ও সমমর্মিতা। আমরা বলতে পারি, সবদিক থেকে ভালো থাকার জন্যে মেডিটেশন একটি সহজ উপায়। তাই এর চর্চা হচ্ছে আজ বিশ্বজুড়ে সর্বত্র, এমনকি স্কুল থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত।

দেশে দেশে যোগ-মেডিটেশনের সরকারি স্বীকৃতি
ব্রিটিশ নাগরিকদের ওপর যোগ-মেডিটেশনের সার্বিক উপকারিতা দীর্ঘ একবছর যাবৎ পর্যবেক্ষণ শেষে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি দেশব্যাপী যোগ-মেডিটেশন প্রশিক্ষণের জন্যে এক কোটি পাউন্ড বরাদ্দের প্রস্তাব পেশ করে। ২০১১ সালে ব্রিটিশ সরকার যোগ মেডিটেশনের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

যোগচর্চাকারীদের জন্যে আনন্দের সংবাদ হলো, ইংল্যান্ডের শিক্ষামন্ত্রী এডওয়ার্ড টিম্পসন সংসদীয় আলোচনায় বলেন, অনলাইন আসক্তি থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করার জন্যে ইংল্যান্ডের স্কুলগুলোতে যোগ-মেডিটেশন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বৃদ্ধি ও আগ্রাসী আচরণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্যে ইংল্যান্ডের স্কুলগুলো যোগ-মেডিটেশনকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করছে।

যোগব্যায়ামের কার্যকারিতা প্রত্যক্ষ করে ভারতে ২০১৫-১৬ সালে ঘোষিত বাজেটে যোগ-মেডিটেশনের ওপর পূর্ব-আরোপিত সার্ভিস ট্যাক্স স্থায়ীভাবে প্রত্যাহার করা হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৬ সালে রাজ্য সরকারগুলোর প্রতি নির্দেশ জারি করে যেন শিক্ষার্থীদের সুস্থ দেহ ও সতেজ মন অর্জনে যোগব্যায়াম চর্চায় আগ্রহী করে তোলা হয়। একই বছর ‘ইয়োগা ট্রেনিং ফর পুলিশ পার্সোনেল’ স্কিমের আওতায় যোগচর্চাকে ভারতীয় পুলিশ সদস্যদের জন্যে বাধ্যতামূলক করা হয়।
আমেরিকার স্কুলগুলোতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যোগব্যায়াম প্রশিক্ষণ

২০১৬ সালে আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশন জানায়, আমেরিকায় প্রতি তিন জন শিশুর একজন অতিরিক্ত ওজনের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকাসক্তি ও ধূমপানকে ছাড়িয়ে শিশু-কিশোরদের এক নম্বর সমস্যা এখন এটি। মেদস্থূলতার প্রতিকার হিসেবে আমেরিকার অনেক স্কুল শিক্ষার্থীদের দাঁড়িয়ে ক্লাস করা এবং অ্যাথলেটিক্সের ওপর জোর দিয়েছে। কিন্তু দেখা গেছে, সব বাচ্চার জন্যে সারাদিন দাঁড়িয়ে ক্লাস করা ও অ্যাথলেটিক্সের চর্চা করা কঠিন। তাই স্কুলগুলো এখন শিশুদের জন্যে যোগব্যায়াম প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। বাংলাদেশে জনপ্রিয় হচ্ছে যোগ-মেডিটেশন 

১৯৮৩ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় যোগ মেডিটেশন কেন্দ্র। মূলত এর মধ্য দিয়েই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মেডিটেশন চর্চার সূত্রপাত ঘটে বাংলাদেশে। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে যোগ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে যাত্রা শুরু করে কোয়ান্টাম মেথড কোর্স, যার ফলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের জন্যে সুযোগ ঘটে ব্যাপকভাবে মেডিটেশন চর্চার। তারপর দীর্ঘ দু-যুগের সাফল্যযাত্রায় একে একে অনুষ্ঠিত হয়েছে কোয়ান্টাম মেথডের সাড়ে চারশটিরও বেশি ব্যাচ এবং ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে বিভিন্ন বয়সের অগণিত মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ থেকে লাভ করেন সঠিক জীবনদৃষ্টি। সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন কর্মব্যস্ত সুখ জীবনের পথে এগিয়ে চলার এ ধারণা ভূমিকা রেখেছে লাখো জীবন বদলের এক গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে।

এভাবেই বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মেডিটেশন। সচেতন মানুষ মাত্রই বুঝতে শুরু করেন মনোদৈহিক সুস্থতা ও সফল জীবনের জন্যে মেডিটেশনের কার্যকারিতা। দেশের লক্ষ পরিবারে ও বিভিন্ন অফিসে, পার্কে, স্কুল-কলেজসহ নানা প্রতিষ্ঠানে এখন নিয়মিত মেডিটেশন চর্চা করা হয়।

২০১৬ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র রাজধানীর পার্কে, জিমনেসিয়ামে যোগ-মেডিটেশন প্রশিক্ষণের ঘোষণা দেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে বিসিএস প্রশাসন একাডেমি, বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি) ও নির্বাচন কমিশনে কোয়ান্টাম ইয়োগার একাধিক সেশন অনুষ্ঠিত হয়। 

এ-ছাড়াও ২০১৭ সালে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার রংপুরে দুই সহস্রাধিক মহিলা প্রশিক্ষণার্থী কনস্টেবল কোয়ান্টাম ইয়োগা কার্যক্রমে অংশ নেন। উল্লেখ্য, ফাউন্ডেশন প্রকাশিত রোগ নিরাময়ে কোয়ান্টাম ব্যায়াম ও সৌন্দর্যচর্চা বইটিকে সম্প্রতি এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পাঠ্যবই হিসেবে নির্বাচিত করেছে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার কর্তৃপক্ষ। কোয়ান্টামের দু-যুগের সাফল্যযাত্রায় বাংলাদেশের জনজীবনকে স্পর্শ করেছে মেডিটেশনের কল্যাণতরঙ্গ।

লেখক-জুনিয়র কনসালট্যান্ট, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগ, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকা।