ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ফিরে আসছে মতিঝিলের হারিয়ে যাওয়া ঝিল (ভিডিও)

সাইদুল ইসলাম, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৭ পিএম, ২৭ মে ২০২৩ শনিবার

কল্যাণপুর নতুন হাতিরঝিল তৈরির পাশাপাশি মতিঝিলের হারিয়ে যাওয়া ঝিল ফিরিয়ে আনতে নেয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে প্রায় ১২ একর জমিতে হবে শেখ কামাল মেমোরিয়াল লেক ও পার্ক। দৃষ্টিনন্দন এ লেকে থাকবে শিশুপার্ক, জাদুঘর, হাটার পথসহ বিনোদনের নানা সুযোগ। তবে এক্ষেত্রে সবচে বড় চ্যালেঞ্জ খালগুলো দখলমুক্ত করা। 

সাড়ে তিনশ’ একরের মতিঝিলের অস্তিত্ব হারিয়েছে বেশ আগেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের পেছনে ঝিলটির কিছু অংশে এখনও পানি রয়েছে। নৌকার দেখাও মেলে। 

এপর্যন্ত ঝিলটি দখলমুক্ত করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ একর জায়গায় স্থাপন করা হবে শেখ কামাল মেমোরিয়াল পার্ক। পার্কের ৭৫ শতাংশ জুড়েই থাকবে লেক। পুরোনো ঝিলের আদলে নতুন নকশায় নাগরবাসীর জন্য থাকবে আরও কিছু সুবিধা। ৪০ ফুটের সড়ক আর উড়াল সেতুতে দৃষ্টিনন্দন হবে পার্কটি।

বর্তমান সরকারের হাত ধরে হাতিরঝিল ফিরে পেয়েছে ঝিলের অস্তিত্ব। 

২০২০ সালে ওয়াসার কাছ থেকে এসব খালের দায়িত্ব বুঝে পায় দুই সিটি কর্পোরেশন। এরপর শুরু হয় খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও উদ্ধার অভিযান। 

গত দেড় বছরে কেবল খাল পরিষ্কারেই সীমাবদ্ধ ছিল দুই সিটি কর্পোরেশন। তালিকাভুক্ত খালগুলোর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ খুব একটা হয়নি। সীমানা নির্ধারণেও গতি পায়নি। 

অবৈধ খাল দখলদারদের উচ্ছেদ বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র। সীমানা নির্ধারণের পর অভিযান চালানো হবে বলে জানান মেয়র। 

ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, “এই মুহূর্তে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে খালগুলোকে উদ্ধার। মহানগর জরিপের মাধ্যমে অনেক খালের দিক এবং খালগুলো বন্ধ করে ফেলা হয়েছে। এতে শহরের জলাবদ্ধতা অবশ্যই বাড়বে, কমবে না। সুতরাং, আমরা আইনের আশ্রয় নেব।”

ডিটেইল এরিয়া প্ল্যানের পরিচালক জানান, ঢাকার খালগুলো উদ্ধারের পর যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও পরবর্তন আসবে। খালগুলো নদীর সঙ্গে সংযুক্ত করে একটি ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরি হবে। 

ড্যাপ প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, “প্রাথমিক ভিত্তিতে সুপারিশ করা আছে ২৩টি খাল সংস্কার করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনা এবং জলপথ যাতে তৈরি হয়। সে বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নদী এবং খাল সিএস রেকর্ড অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে যে, ঢাকার জলাধারকে তার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।”

বাসযোগ্য মহানগরী গড়তে খাল দখলমুক্ত করার পাশাপাশি জলাশয়গুলো উদ্ধার ও সবুজায়ন জরুরি। 

এএইচ