ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বাজেটে ন্যূনতম আয়করের নতুন নিয়ম আসছে (ভিডিও)

রাজিব জামান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫১ পিএম, ২৭ মে ২০২৩ শনিবার

করযোগ্য আয় নেই এমন ব্যক্তির ওপরও ন্যূনতম কর ধার্য করার কথা ভাবছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। প্রায় অর্ধশত সেবায় আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র বাধ্যতামূলক হতে পারে। আসছে বাজেটে ন্যূনতম আয়করের নতুন নিয়ম চালু এবং করদাতার মৃত্যুতে টিআইএন বাতিল করার বিধানও রাখতে চাচ্ছে এনবিআর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজস্ব বাড়ানোর প্রচেষ্টা ভালো; কর-প্রশাসনের সক্ষমতাও বাড়াতে হবে। 

বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণিতে টিআইএনধারীর সংখ্যা প্রায় ৮৬ লাখ। এর মধ্যে মাত্র ৩২ লাখ ব্যক্তি আয়কর রিটার্ন জমা দেন। কিন্তু রিটার্ন দাখিলকারীদের মধ্যে প্রায় ৮ লাখের করযোগ্য আয় নেই। তবে এদের ওপর ন্যূনতম দুই হাজার টাকা কর ধার্য করলে সরকারের বাড়তি ১৬০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হবে। আর ন্যুনতম করের নিয়মটি যদি সব টিআইএনধারীর ওপর প্রয়োগ করা হয়, সে ক্ষেত্রে ১ হাজার ২৪০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব পাবে এনবিআর। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার প্রায় ৪০টি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে টিআইএন বাধ্যবাধকতা করেছে। এসব সেবার বেশিরভাগই আয়ের সক্ষমতার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। 

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, “আমার জিডিপি তো হচ্ছে কিন্তু ট্যাক্স হচ্ছে না। আমার হিসাব মিলছে না।  ১শ’ টাকা আয় হলে ১৫ ট্যাক্স আসার কথা সেখানে পাচ্ছি ৭ টাকা। তার মানে আর ৭ টাকা নিচ্ছিনা, পাচ্ছিনা বা দিচ্ছেনা।”

বর্তমানে টিআএন আছে এবং করযোগ্য আয়ও করছেন এমন যারা রিটার্ন জমা দিচ্ছেন না, তাদের কাছ থেকে কর আদায়ের পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। 

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী বলেন, “বাংলাদেশের প্রায় ৫ থেকে সাড়ে ৫ কোটি মানুষ ট্যাক্সের অন্তর্ভুক্তি হওয়ার কথা, সেখানে নিয়মিত ট্যাক্স প্রদান করেন মাত্র ২৬ থেকে ২৮ লাখ মানুষ। তাহলে তাদের তথ্য সরকারের জানা উচিত এবং তাদের কাছ থেকে আদায় করার ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

এদিকে, সরকার প্রথমবারের মতো টিআইএন নিবন্ধন বাতিল করার বিধান চালু করতে যাচ্ছে। বর্তমান আইনে কোনো করদাতা মারা গেলে আয়কর রিটার্ন দাখিল থেকে তার মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় নেই। নতুন বিধানের অধীনে করদাতারা যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে টিআইএন বাতিলের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে পারবেন।

ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, “যিনি ব্যবহার করবেন তারই যদি সদিচ্ছা না থাকে, উনি নিজেই যদি ডিজিটালাইসড না হতে যান তাহলে কিন্তু করা যাবে না। অর্থাৎ দু’পক্ষেরই সমর্থন লাগবে।” 

আয়করসহ সার্বিক রাজস্ব আদায় বাড়াতে কর-প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও কর-ব্যবস্থাপনার পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন জরুরি বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন সিদ্দিকী বলেন, “ব্যবসাকে ব্যবসার মতোই করতে দেওয়া এবং সঠিক মনিটরিং সিস্টেম ডেভেলপ করে তাদের কাছ থেকে সত্যিকার রেভ্যুনিউটা আদায় করার ব্যবস্থা করতে হবে।

এএইচ