দেশের নারী ফুটবলের সুখের সংসারে ভাঙনের সুর
আকাশ উজ্জামান, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫২ এএম, ২৮ মে ২০২৩ রবিবার | আপডেট: ১০:৫৫ এএম, ২৮ মে ২০২৩ রবিবার
দেশের ফুটবলে ছেলেরা ব্যর্থ প্রায় দুই দশক। সেখানে গোলাম রব্বানি ছোটনের হাত ধরে মেয়েরা জিতেছে একের পর এক সোনালী ট্রফি। গেল ১৪ বছরে নারী ফুটবলে যে সুখের সংসার তৈরি হয়েছে সেখানে এখন ভাঙনের সুর। ছোটনের এই হঠাৎ পদত্যাগের জন্য ফুটবল ফেডারেশনের অনিয়মকেই দায়ী করছেন সাবেকরা।
২০০৯ সালের ৫ জুন মেয়েদের ফুটবল নিয়ে কাজ শুরু করেন গোলাম রব্বানী ছোটন। ভোরের সূর্য পূর্ব আকাশে উঁকি দেয়ার আগে কখনও বাফুফের টার্ফ আবার কখনও কমলাপুরে মেয়েদের নিয়ে ব্যস্ততা শুরু হয় তার। এর ফলটাও এসেছে দারুণ। বয়সভিত্তিক দল থেকে শুরু করে জাতীয় দল, সব জায়গায় সফলতা পেয়েছে মেয়েরা।
এই মেয়েদের নিয়ে ছোটনের ১৪ বছরের সংসারে হঠাৎ করেই ভাঙনের সুর। দীর্ঘদিন খেলা না থাকায় মানসিক অবসাদে ফুটবল ছেড়ে দিচ্ছেন সাফজয়ী মেয়েরা। একই হতাশায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেটারেশনের সাথে আর না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কোচও।
দেশের অন্যত্যম সেরা এই কোচের পদত্যাগ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না সাবেকরা। এর কারণ হিসেবে ফুটবল ফেডারেশনের চলমান দুর্নীতি ও অনিয়মকেই দায়ী করেছেন সাবেক অধিনায়ক শেখ আসলাম।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক শেখ মোহাম্মদ আসলাম বলেন, “সত্যিকথা বলতে দেশের ফুটবল বলতে নারী ফুটবলকেই ‘টক অব দ্যা টাউন’ বলে আমি মনে করি। নারীরা যাই করছে সেটাই আমাদের গর্বের বিষয়। সেই দিক থেকে বিবেচনা করলে তার চলে যাওয়াটা ভীষণ ভীষণভাবে ক্ষতি করবে মেয়েদের ফুটবলকে।”
সাধারণ সম্পাদকের অর্থ জালিয়াতি, ফেডারেশন কর্তাদের নয়ছয়। দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দলটিকে নিয়ে শেষ ৭-৮ সাসে কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে না পারা। দেশের ফুটবলের এমন অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে ছোটনের বিদায়কে ফুটবলের অশনি সংকেত বলে মনে করেছেন সাবেকরা।
শেখ মোহাম্মদ আসলাম বলেন, “তার যে প্রেজেন্টসটা, যে পদচারণা ওই টিমের সঙ্গে সেটা বিরাট ভূমিকা পালন করে আসছে। যখনই শেষ ঘটবে, তখন তারা কতটুকু পারফরম করবে সেটা বিবেচ্য বিষয়।”
সমস্যা নিরসনে ছোটনের সঙ্গে আলোচনা করতে ফুটবলের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান সাবেক এই ফুটবলার।
শেখ আসলাম বলেন, “ছোটনের সঙ্গে বসে এটা নিরসন করা উচিত।”
এএইচ