স্ত্রী-কন্যা উদ্ধারে পুলিশের হস্তক্ষেপ চাইলেন প্রবাসী
কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:২৬ এএম, ২৮ মে ২০২৩ রবিবার
কলারোয়ায় স্ত্রী-কন্যাকে হারিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন আফ্রিকা প্রবাসী। স্ত্রী-সন্তান উদ্ধারে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
শনিবার (২৭ মে) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্তরে বিভিন্ন মানুষের কাছে স্ত্রী-কন্যার কথা তুলে ধরে বিচার চাইতে দেখা গেছে।
আফ্রিকা প্রবাসী উপজেলার মুরারীকাটি গ্রামের মৃত শেখ আব্দুল হামিদের ছেলে আব্দুস সালাম বলেন, তিনি অতিকষ্ট করে টাকা যোগাড় করে আফ্রিকায় যান। চলে যাওয়ার সময় তিনি স্ত্রী নাছরিন নাহার ও একমাত্র শিশু কন্যা ফারিয়া সুলতানা স্মৃতিকে বাড়িতে রেখে যান। দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর ফিরে দেখেন তার ঘরে কিছুই নেই। স্ত্রী-সন্তানকেও পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, প্রবাসে থাকাকালিন সময় স্ত্রীর নামে প্রতিমাসে ৫০-৬০ হাজার করে টাকা পাঠাতেন। এ যাবৎকাল তার স্ত্রীর কাছে ব্যাংকের মাধ্যমে ৮ লাখ ৭৭ হাজার ও বিকাশের মাধ্যমে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন। এছাড়া স্ত্রীকে স্বর্ণের গহনা দিয়েছেন ২লাখ টাকার।
পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, তার স্ত্রী কলারোয়া উপজেলার কয়লা গ্রামে তার বাপের বাড়িতে আছেন। এর কারণ জানতে চাইলে স্যালক শাহাবুজ্জামান অশালিন কথা বলে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। পরে মোবাইল ফোনে ভুয়া একটি তালাকনামা পাঠায়।
প্রবাসী বলেন, আমার সারাজীবনের আয় সব নিয়ে চলে গেছে স্ত্রী নাছরিন নাহার। আমার টাকা ও সন্তান ফেরত চাই।
২০১০ সালে পরিবারের সম্মতিক্রমে বিয়ে হয় আব্দুস সালামের। বিয়ে পরে তিনি জানতে পারেন তার স্ত্রীর এর আগে দুই জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। তার সঙ্গে প্রতারণা করে বিয়ে দিয়েছে। তারপরেও শিশু কন্যা সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে সব মেনে নিয়ে ঘর সংসার করছিলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, স্যালক সাহাবুজ্জামান তার স্ত্রী-কন্যাকে আটকে রেখেছে। তার টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও স্ত্রী-কন্যা সন্তান উদ্ধারে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এএইচ