ডেঙ্গুর হটস্পট এখন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প
শিউলি শবনম, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫৬ পিএম, ২৮ মে ২০২৩ রবিবার
ডেঙ্গুর সবচেয়ে বড় হটস্পট এখন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। চলতি বছরেই আক্রান্ত ১ হাজার ৬৬ জন রোহিঙ্গা, যা দেশের অন্য এলাকার মোট রোগীর কাছাকাছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্প বাদে সারাদেশে আক্রান্ত এক হাজার ৫শ’৩৩ জন। রোহিঙ্গা শিবিরে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা বেশ চ্যালেঞ্জিং- বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চলতি মাসে রোহিঙ্গা ছাড়াই সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭৭৬ জন ডেঙ্গু রোগী, মারা গেছে ২ জন। যা এ বছরের সর্বোচ্চ।
রোববার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতিসহ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের যা পরিস্থিতি, তাতে সেখানে ডেঙ্গু ব্যবস্থাপনা ‘কঠিন’।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরে গতবছরও প্রায় ১৭ হাজার রোগী শনাক্ত হয়। সচেতনতার অভাব, ক্যাম্পে পানির উৎস সীমিত হওয়ায় পানি জমিয়ে রাখাসহ নানা কারণকে গুরুত্ব দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বলছে, প্রাক মৌসুমেই এসব মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধংস করা না গেলে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয়ে উঠতে পারে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, “কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। সেখানকার স্থানীয় মানুষদের মধ্যে ছড়ানো এই সংখ্যাটাও উপেক্ষা করার মত নয়।”
“রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের মাঝে সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাদের কালচার আলাদা হওয়ায় এ ব্যাপারে কাজও সেভাবে করা যায় না। তারা একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থাকেন, সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও অনেক নিয়ম মেনে কাজ করতে হয়।” বলেন তিনি।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যেসব জায়গায় লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে তা ম্যাপিং করে সিটি করপোরেশনগুলোর সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে করপোরেশনকে আরো কার্যকরী উদ্যোগের তাগিদ দেন কর্মকর্তারা।
বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু সংক্রমণ পরীক্ষায় ৫০০ টাকার বেশি নেয়া যাবে না এবং সরকারি হাসপাতালে এই খরচ ১০০ টাকা বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এসবি/