সিটে বসাকে কেন্দ্র করে ইবি শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:১০ এএম, ৩০ মে ২০২৩ মঙ্গলবার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণকে কেন্দ্র করে উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সম্মুখে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৯ মে) বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠান চলাকালে সিটে বসা ও স্টেজের সামনে নাচাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় সংঘর্ষ। এরপর বিভিন্ন জায়গায় মোট ৫ দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মাঝপথেই নবীনবরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের রাজা নামের এক শিক্ষার্থী তার বন্ধুর জন্য জায়গা রাখলে সেই সিটে অন্য একজন বসতে চাওয়ায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে রাজাকে মিলনায়তনের ৩য় তলায় ডেকে নিয়ে মারধর করেন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সাইমুম, অর্থনীতি বিভাগের সাদী (২০১৯-২০), ফিন্যান্স বিভাগের সাকিব (২০১৯-২০) ও আজাদ (২০২০-২১)।
পরে ঘটনার সূত্র ধরে মিলনায়তনের ভেতরে উপাচার্যের সামনেই একই বিভাগের রাজার বন্ধু ফুয়াদ ও সৈয়দ সাজিদুর রহমানকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এতে আহত হয় সাজিদ নামের এক শিক্ষার্থী।
পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
একই ঘটনায় মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আলী রিয়াজ ও তূর্যকে মারধর করেন অ্যাকাউন্টিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাইমন ও তার বন্ধুরা।
বিকাল ৪টার দিকে মিলনায়তনে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্ব চলাকালীন স্টেজের সামনে থেকে পাশে সরে যেতে বলায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাধে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঝপথেই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে আহত শিক্ষার্থী ফুয়াদ বলেন, কথা কাটাকাটি নিয়ে প্রথমে কলার ধরাধরি হয়। পরবর্তীতে রাজাকে কয়েকজন মিলে বাহিরে ডেকে নিয়ে মারধর করে। সেখানে লোকজন জমা হওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আমরা ভেতরে এসে বসি। এরপর কী হলো জানি না। তিনজন মিলে আবারও ভেতরে এসে আমাদের মারধর শুরু করেন।
অভিযুক্ত অ্যাকাউন্টিং বিভাগের সাইমন বলেন, কোনো মারামারি হয়নি, শুধু হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আমি বড়ভাইদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসনে আজাদ বলেন, কোনো অভিযোগ পাইনি, মারামারি অডিটোরিয়ামের পেছনের দরজার ওখানে হয়েছে। পরে সেখানে গেলে জড়িত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোনো অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএইচ