রাবি ক্যাম্পাসে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচ্ছন্নতা অভিযান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:১০ পিএম, ৩১ মে ২০২৩ বুধবার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন রাজশাহী সেন্টার তিন দিনব্যাপী বহুমুখী সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
গত ২৯ মে থেকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন রাজশাহী সেন্টারের মোমেন্টিয়ার অ্যাডভোকেট কায়সার পারভেজ মেহেদীর নেতৃত্বে ১৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন ও রাস্তার পাশে পরে থাকা কাগজ, প্লাস্টিক বোতলসহ আবর্জনা পরিষ্কার করার অভিযানে অংশ নেন।
ক্যাম্পাসকে পরিচ্ছন্ন রাখার মধ্য দিয়ে পরীক্ষা চলাকালে সকলের স্বাস্থ্য-সুরক্ষায় নিশ্চিত করা হয়।
অ্যাডভোকেট কায়সার পারভেজ মেহেদী বলেন, ‘৩০ বছর ধরে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন সৃষ্টির সেবামূলক কাজ করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় রাজশাহী সেন্টার গত তিন বছর ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন এডমিশন টেস্ট হয় তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অনুমতি ক্রমে এখানে কয়েকটি সেবা দিয়ে আসছি। তারমধ্যে অন্যতম হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সেবা,অ্যাম্বুলেন্স সেবা, অক্সিজেন সিলিন্ডার সেবা এবং দুজন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা প্রাথমিক সেবা দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, এই সৃষ্টির সেবার মধ্যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অন্যতম কারণ আশেপাশের মানুষকে সচেতন করা। কারণ এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে সারা বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষের এখানে সমাগম হয়। অনেক তরুণ প্রজন্ম এই পরীক্ষায় অংশ নেয়। আমাদের ভলেন্টিয়ার যারা আছেন তারা যখন এই কাজগুলো করেন তখন স্বাভাবিকভাবেই আরেকজন সচেতন হয়ে যান, তিনিও মনে মনে তখন ভালো কাজ করার জন্য সচেতন হয়ে যান।
আসলে একটি মানুষকে বা তরুণ প্রজন্মকে জাগ্রত করার একটা ক্ষুদ্র প্রয়াস হচ্ছে এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। এই প্রিয় মতিহার ক্যাম্পাস পরিষ্কার থাকবে সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি, যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন রাজশাহী সেন্টারের কো-অর্গানিয়ার মাহমুদুল হাসান তুষার বলেন, আমাদের লক্ষ্যই হলো মানুষকে সেবা দেয়া। ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে আমাদের এই শহরে প্রায় ছয় লাখ মানুষের আগমন ঘটে। এতগুলো মানুষের কাছে আমরা একটা পজেটিভ মেসেজি দিতে চাচ্ছি যে, নিজেরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকি, সেই সঙ্গে যদি প্রত্যেকটি মানুষ নিজের জায়গা থেকে সচেতন হই সামগ্রিক পরিসরটা পরিবর্তিত হবে। এখানে ১৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছি সকল বয়সী। একদম স্কুলগামী বাচ্চারা শুরু করে তাদের বাবা-মা’রাও আছেন।
এসময় ৪টি টিমে ভাগ হয়ে প্রশাসনিক ভবন, সিনেট, ভবন, রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবন, শহীদুল্লাহ্ কলা ভবন, মমতাজউদ্দিন ভবন, সিরাজী ভবন, টুকিটাকি, শহীদ মিনার, রাকসু ভবন, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটারিয়া, শেখ রাসেল স্কুলের মাঠসহ সকল জায়গায় পরিচ্ছন্ন অভিযান চালায় তারা।
উল্লেখ্য, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর যাত্রা শুরু ১৯৯৩ সালে। ৩৬টি সেবামূলক কার্যক্রমে সাথে জড়িত এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শিক্ষার্থীদের মোটিভেশন, গর্ভবতী নারীদের সেবা, রক্তদান কর্মসূচি ও স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে ফাউন্ডেশনটি।
এএইচ