বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাগবে ভোলায় ‘ন্যায়কুঞ্জ’ স্থাপন
ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:০৬ পিএম, ৩ জুন ২০২৩ শনিবার
ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে বিচারপ্রার্থীদের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামের বিশ্রামাগার।
আজ শনিবার (৩জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ। এর আগে ভোলা বিচার বিভাগের আয়োজনে জেলা ও দায়রা জজ আদালত হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় ভোলা জেলা ও দায়রা জজ এ. এইচ. এম. মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আনোয়ারুল হক, ভোলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. সানাউল হক, কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপটেন মো. শহিদুল হক, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. মো. শফিকুজ্জামান, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সাব্বির মো. খালিদ, ভোলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট সালাহউদ্দিন হাওলাদার, ভোলা কোর্টের সরকারি কৌশলী (জিপি) নুরুল আমিন নুরনবী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইফতারুল হাসান শরীফ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, আদালত প্রাঙ্গনে বিচারের জন্য এসে বিচারপ্রার্থীদের গাছ তলায় রোদ-বৃষ্টিতে থাকতে হয়। তাদের এ কষ্টের কথা উপলব্ধি করে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২২ সালে সর্বপ্রথম সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নামের বিশ্রামাগার স্থাপন করেন। এরপরই দেশের সকল জেলায় এ ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। আর এজন্য প্রাধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে ৩৫ কোটি টাকা বাজেটও দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতির সেই উদ্যোগের আলোকে ভোলা জেলায় ন্যায়কুঞ্জ নামের বিশ্রামাগারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত বিচারপ্রার্থীরা মামলার শুনানির আগে ও পরে এখানে অবস্থান করতে পারবেন।
আদালত প্রাঙ্গণে গড়ে তোলা ন্যায়কুঞ্জে থাকছে নারী ও পুরুষের আলাদা বসার জায়গা, আলাদা টয়লেট, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, একটি ছোট স্টেশনারি দোকান এবং মায়েদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার। এর মাধ্যমে দ্বীপ জেলা ভোলার বিচারপ্রার্থীদের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাগব হবে।
আলোচনা সভা শেষে ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং আদালত প্রাঙ্গনে একটি লিচু গাচের চারা রোপণ করেন বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ।
এএইচ