ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

‘রেলসেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার’

প্রণব চক্রবর্তী

প্রকাশিত : ১২:৩৭ পিএম, ৪ জুন ২০২৩ রবিবার

দেশের বিরুদ্ধে বিশদগার করে যারা ফায়দা লুটতে চায়, তাদের বিগত আর বর্তমান বাংলাদেশের পার্থক্য মিলিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা-নীলফামারি রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চিলাহাটি এক্সপ্রেস উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেলসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার।

রেল এখন জনবান্ধব এবং গণমানুষের অন্যতম প্রধান বাহন। নতুন নতুন রেল সেবার আওতায় আসছে দেশের বিভিন্ন এলাকা। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ৭৪০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে।

রেলের এ বহরে ঢাকা-চিলাহাটি রুটে যুক্ত হলো নতুন যাত্রবাহী ট্রেন ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’। ৫ জুন থেকে ৮শ’ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে ট্রেনটি। 

রোববার গণভবন থেকে নিলফামারির চিলাহাটি রেলওয়ে প্রান্তে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রেলসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে কাজ করছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “মিটারগেজ-ব্রডগেজ দুই ধরনের রেল যাতে চলতে পারে সেইভাবেই সমস্ত নেটওয়ার্কটা আমরা করেছি।”

বাজেট নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা শ্রেণী দেশের বিরুদ্ধে বিশদগার করেই ফায়দা লুটতে চায়। 

সরকারপ্রধান বলেন, “আমরা যা কাজ করি সেখানেই একটা সমালোচনা, সেখানে একটা কিন্তু খুঁজে বেড়ানো আর মানুষকে হতাশ করার কতগুলো কথা বলে বেড়ায়। আর বাংলাদেশের বদনাম বিদেশিদের কাছে বলে বলে নিজেরা কি পায় সেটা আমি জানিনা। কিছু হাদিয়া-টাদিয়া যোগাড় করে কিনা তা বলতে পারবোনা। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলেই যেন তারা তৃপ্তি পায়।”

বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং মূল্যস্ফীতির কারণে জনগণের কষ্ট লাঘবে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, একদিকে মূল্যস্ফীতি অন্যদিকে এখন বিদ্যুৎ নাই- এই দুটো কষ্ট আমার দেশের মানুষ পাচ্ছে। একবার যদি বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস খাওয়ার অভ্যাস হয়ে যায় তা না পেলে তো আরও কষ্ট হয়, এটা তো বাস্তব কথা। কিন্তু যুদ্ধটা যদি না বাদতো আর স্যাংশন যদি না থাকতো তাহলে আমাদের কোনো অসুবিধাই হতোনা। 

বাঁশি বাজিয়ে চিলাহাটি এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করবে যাত্রীবাহী এই ট্রেন।

এএইচ