ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

আশ্রয়ণ ছাড়াও নিশ্চিতের পথে শিক্ষা-চিকিৎসার অধিকার (ভিডিও)

মানিক শিকদার

প্রকাশিত : ০১:২৭ পিএম, ১০ জুন ২০২৩ শনিবার

ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার পাশাপাশি বাকি চার মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। মোলিক চাহিদা পূরণে গুরুত্ব দেয়া হয় জাতীয় বাজেটে। সবার জন্য বাসস্থান নিশ্চিতের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়ছে। আশ্রয়ণ ছাড়াও নিশ্চিত হওয়ার পথে শিক্ষা চিকিৎসার অধিকার। 

ভূমিহীন গৃহহীন এই পরিবারটি কাটিয়েছেন নানা ধরনের প্রতিকূলতায়। এক সময় দুমুঠো অন্ন যোগাতে হিমশিম খেতেন। অন্য মৌলিক অধিকার থেকেও ছিলেন বঞ্চিত।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বদলে গেছে জীবনের গতিপথ। জমির মালিকানায় শুধুই নয়, খুলেছে কর্মসংস্থানেরও পথ।

১৯৯৭ সাল থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০১ পরিবারকে পুর্নবাসন করা হয়। ২১১ উপজেলা গৃহহীন মুক্ত। তবে তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পরামর্শ দিলেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।

অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান বলেন, “ব্যবস্থাপনার বড় একটা দুর্বল দিক হলো, আমরা তথ্যগুলো ঠিক মতো ডিজিটাইসড করি না এবং এই তথ্যগুলো মনিটর করি না। আমরা কতটা অগ্রগতি অর্জন করলাম এবং আরও কি করা দরকার এগুলোর সুনির্দিষ্ট ডেটাবেইজড থাকা উচিত। যেমন আশ্রযণ প্রকল্পে যারা যুক্ত হয়েছেন তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ কিংবা মানবিক অধিকার বা উন্নয়নের অধিকার কতোটা তারা পূরণ করতে পারছে সেগুলো কিন্তু আমাদের হিসাবে নেই। এই অংকগুলো করা উচিত।”

মৌলিক অধিকারের অন্যতম স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩৮৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক হয়েছে। প্রতিটি ক্লিনিককে দিনে গড়ে ৪০ জন সেবা নিচ্ছেন। যার ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  জেলা পর্যায়ের সরকারী হাসপাতাল ও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বল্প খরচে চিকিৎসা পাচ্ছেন নাগরিকরা। যদিও প্রশ্ন আছে সেবার মান নিয়ে। তবে পর্যাক্রমে উন্নতি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আতিউর রহমান বলেন, “স্বাস্থ্য এবং বাসস্থান এই জায়গাগুলোতে যতো মানুষকে যুক্ত করতে পারবো, গুণমানের শিক্ষা দিতে পারবো ততোই ওই জায়গাটাতে আমরা পৌঁছতে পারবো। এটা ক্রমবর্ধমান একটা দিক কিন্তু সরকারের থাকা উচিত, সুদূর প্রসারি একটা পরিকল্পনা।”

শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। স্বাক্ষরতার হার ৭৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। বিনামূল্যে বই, উপবৃত্তিসহ আছে একগুচ্ছ উদ্যোগ। এবারের বাজেটেও শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ১ লাখ ৪ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবে আশা দেখছেন বিশিষ্টজনেরা।

অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ বলেন, “সেটা তো অব্যাহত রাখতে হবে, সম্ভব হলে সেটাকে আরও বাড়াতে হবে। মাথাপিছু আয় বাড়লে পুনরুদ্ধার হবেনা। পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় সবাইকে সঙ্গে নিতে হবে। মনে করি, সেটা সরকারের একটা ভালো উদ্যোগ, চাই সেটা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হোক।”

এতো কিছুর মাঝেও গলার কাটা নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য। বাজার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সম্পদের সুষম বণ্টন হলে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা কঠিন হবেনা বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

এএইচ