ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

ঝুঁকি জেনেও পাহাড়ে নির্মাণ হচ্ছে নতুন ঘরবাড়ি (ভিডিও)

সত্রং চাকমা, রাঙামাটি থেকে

প্রকাশিত : ১১:৩১ এএম, ১৩ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৩৬ এএম, ১৩ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার

২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ধসে প্রাণ হারায় ১২০ জন। এরপরেও থামেনি ঝুঁকি নিয়ে বসবাস, বরং তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ঘরবাড়ি। জেলা প্রশাসন বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসতি স্থাপন বন্ধে বারবার সতর্ক করা হলেও মানছেন না কেউ। 

২০১৭ সালের ১৩ জুন প্রবল বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ পাহাড় ধসে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী, মোনতলা, রাঙ্গাপানি, শিমুলতলি, মুসলিম পাড়া ও লোকনাথ মন্দির এলাকা, সদর উপজেলার মগবান এবং সাপছড়ি ইউনিয়নসহ পাঁচটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৫ সেনা সদস্যসহ মারা যায় ১২০ জন। 

২০১৮ সালে ১২ জুন নানিয়াচরে পাহাড় ধসে মৃত্যু হয় ১১ জনের।

এতো মৃত্যুর মিছিল ও বিপুল পরিমাণ সম্পদহানির পরও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি স্থাপন বেড়েছে। পাহাড়ের দু’পাশ জুড়েই নির্মাণ হচ্ছে নতুন নতুন ঘরবাড়ি। ঝুঁকি জেনেও নিজেদের বসতবাড়ি ছাড়তে রাজি নন বসবাসকারীরা।

তারা জানান, ওই ২০১৭ সালে যা হয়েছে এরপর আর কিছুই হয়নি। আমরা এখন ভালোই আছি। 

প্রশাসনের তথ্য মতে, শহরে ৩১টি পয়েন্টকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন বলছে, এসব এলাকায় বসবাস ও স্থাপনা নির্মাণে সর্তক করা হলেও নিষেধাজ্ঞা মানছে না মানুষ। 

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, “যখন উদ্ধার করতে যাই তখন তারা সহযোগিতা করতে চায় না। তারা যেতে চায়না, তখন ফোর্স করতে হয় ঘরে তালা দিতে হয়। এই বিষয়টা সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে সম্ভব।”

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসতি স্থাপন বন্ধে ২০১৭ সালে তদন্ত কমিটির দেওয়া সুপারিশমালা বাস্তবায়নের দাবি সচেতন নাগরিকদের।

এএইচ