ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে তাক লাগিয়েছেন কৃষক মমিনুর

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৪১ পিএম, ১৩ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার

যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন কাঠশেকরা গ্রামের মাঠে সবুজ পাতার ফাঁকে মাচায় ঝুলছে ঝিঙে-পটল। মালচিং পদ্ধতিতে হাইব্রিড শসা, ঝিঙে ও পটল চাষে কম খরচে ফলন বেশি পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়েছেন কৃষক মমিনুর রহমান।

শার্শা উপজেলার নাভারন কাঠশেকরা গ্রামের মৃত সামছের রহমানের ছেলে মমিনুর রহমান (৬৫) একজন আদর্শ সবজি চাষী। কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রতি বছর সে বিভিন্ন রকমের সবজির চাষ করে থাকেন। বাজারে সবজির চাহিদা থাকায় এবং দাম বেশি, ফলন ভালো পাওয়া যায় বলে সে মালচিং পদ্ধতি সবজি চাষ করে আসছেন। 

বাড়ির পাশে মাঠে দু’বিঘা ৬৬ শতাংশ জমিতে মালচিং পদ্ধিতে উচ্ছে, শসা, বেগুন, পটল, ঝিঙে চাষ করেছেন তিনি। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে বড় বড় লাম্বা ঝিঙে মৃদু বাতাসে মাচায় দুলছে। দু’বিঘা জমিতে মালচিং চাষে খরচ হয়েছে আশি হাজার টাকা। ইতিমধ্যে লাখ টাকার বেশি শসা ও পটল বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি। 

মমিনুর বলেন, মাঠে এখনও ঝিঙে ও পটল যা আছে তাতে আরও এক লাখ টাকা বিক্রি হবে। বর্তমান তার এখানে ৫-৬ জন বেকার মানুষের কর্মস্থানের সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি জানান, শার্শা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ শেষে ইয়ার মালিক সিড কোম্পানির ময়নামতি জাতের শসার বীজ বগুড়া থেকে সংগ্রহ করে বপন করেন। মালচিং পদ্ধতিতে বেড তৈরি এবং রাসায়নিক ও জৈব সার একসঙ্গে প্রয়োগ করে আবাদকৃত জমি পলিথিনের মালচিং সেড দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। এতে অতি বৃষ্টিতেও মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয় না। 

এ পদ্ধতিতে কৃষকের উৎপাদন খরচ কম হয়। শসা ও ঝিঙে রোপণের ২৫ দিনের মধ্যে ফুল আসে ও ৪৫ দিনের মধ্যে বড় হয়ে যায় এবং ৭০ দিন পর্যন্ত ভালো ফলন পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, বারো মাসেই শসা, পটল, ঝিঙের ব্যাপক চাহিদা থাকে এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। চলতি মৌসুমে পাইকারি হিসেবে প্রায় ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ থেকে সহযোগিতা পেলে কৃষিতে আরও সাফল্য ঘটানো সম্ভব বলে জানান মমিনুর রহমান।

এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মণ্ডল জানান, চলতি মৌসুমে শার্শা উপজেলায় ১৬৫০ হেক্টর জমিতে সবজি উৎপাদন হয়েছে এবং ৫০ হেক্টর জমিতে শসা উৎপাদন হয়েছে। মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ আধুনিক চাষ পদ্ধতি। এই পদ্ধতি ব্যবহারে জমিতে সার ও সেচ অন্যান্য পদ্ধতির থেকে কম লাগে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় রোগ বালাইও অনেক কম। 

এএইচ