বিএনপি পদযাত্রার নামে হাতে হারিকেন নিয়ে পথে পথে ঘুরছে: শেখ পরশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:০৯ পিএম, ১৩ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার
বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আগামীকাল ১৩ জুন, মঙ্গলবার, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ আয়োজনে দুপুর ২:৩০ মিনিটে, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সঞ্চালনা করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন,সম্প্রতি বিএনপি বিভিন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নিজেদের নেতা-কর্মীদের সাংগঠনিক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। মেয়র এবং কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে তাদেরকে বিরত রাখার জন্য এবং নিরুৎসাহিত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। কিন্তু লাভ হচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞা দিয়েও লাভ হচ্ছে না। একাধারে চিঠি দিচ্ছে, আজীবন বহিষ্কার করছে। এতে বুঝা যায় তাদের মধ্যে বিভক্তি। কারণ অধিকাংশ বিএনপি নেতারাই নির্বাচনমুখী। বিএনপিরই একটা বিরাট অংশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, আমার পয়েন্ট, অবাধ এবং প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন বর্জন করা, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বাধা দেওয়া সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিপন্থী আচরণ কিনা? এই অসঙ্গত আচরণের জন্য তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় কিনা? কিংবা তারা আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পরে কিনা? তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অবশ্য আগেও ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পরেছিলেন। তাঁর জন্য নতুন কিছু না। তবে নির্বাচন বর্জন করার মানসিকতা তাদের নিজেদের মধ্যেই গ্রহণযোগ হচ্ছে না। তাদের নিজেদের নেতা-কর্মীরাই প্রত্যাখান করছে এই ধরণের অবাস্তব রাজনৈতিক কৌশল। তারাও বুঝে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি একটা অপরিপক্ক, বিভ্রান্তিকর এবং অর্থহীন দাবি। এই দাবিতে তারা নিজেরাই বিশ্বাস করে না। তাই তারা ঝাঁকে ঝাঁকে নির্বাচনে যাচ্ছে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিএনপির একটা বিরাট অংশ দল ভাইঙ্গা নির্বাচনের দিকে দৌড়াবে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার, গণমানুষের সরকার। এই সরকারকে এইসব আন্দোলন সংগ্রামের ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করার স্বপ্ন দেখতেছেন আপনারা। আপনারা জেগে ওঠেন। এই দিবা স্বপ্নের এখন আর সময় নাই। আওয়ামী লীগ সরকারকে আন্দোলন-সংগ্রাম করে উৎখাত করা যায় না। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের ভিতর থেকে গড়ে ওঠা সংগঠন। কোন ক্যান্টনমেন্ট থেকে গড়ে ওঠা সরকার না যে ভয় দেখালে চলে যাবে, পালিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ সরকার পালায় না। এদেশের মানুষকে নিয়েই বছরের পর বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য। তিনি আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায়, তাই তারা বিদেশীদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে। যার ফলে যে ভিসা রেস্ট্রেকশন তাতে তাদেরকেই ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাতে তাদের লাভ হলো কি। কিছুই না। এখন তারা পদযাত্রার নামে হাতে হারিকেন নিয়ে পথে পথে ঘুরছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামাত সারা বাংলাদেশে আন্দোলনের নামে মানুষের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন, তারা বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছেন, তারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার হুমকি দিচ্ছে, যেখানে সারা বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে বঙ্গবন্ধুকন্যার দিকে, বরিশালের মানুষ ভোট দিয়ে প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধুকন্যা বিহীন, নৌকা বিহীন বরিশালের মাটিতে কোন প্রতীকের জায়গা নেই। খুলনা মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নৌকায় ভোট দিয়ে খালেক সাহেবকে মেয়র বানিয়েছে। একই আওয়াজ দেশ ও জনগণের প্রতীক, নৌকা প্রতীক আর সেই নৌকার হাল ধরেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সন্তান রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। সেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বিএনপি-জামাতের। তার প্রতিবাদেই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সারা বাংলাদেশে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছিল। শান্তিময় বাংলাদেশে শান্তি ধরে রাখার জন্য যুবলীগ থাকবে রাজপথে।
তিনি মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এই বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। সেই আওয়ামী লীগের হাল ধরেছে একজন সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব যাকে সারা বিশ্বের মানুষ শ্রদ্ধা করে তিনি হলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামাত যত কথাই বলুক না কেন, বাংলার মানুষ শেখ হাসিনার প্রশ্নে আপোসহীন। আগামী নির্বাচনে বাংলার মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় বসিয়ে প্রমাণ করবে এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ নৌকার বাংলাদেশ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ এনামুল হক খান, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, মোঃ জসিম মাতুব্বর, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. ফরিদ রায়হান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হারিছ মিয়া শেখ সাগর, মহিলা সম্পাদক অ্যাড. মুক্তা আক্তার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ আলতাফ হোসেন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. মাহফুজার রহমান উজ্জ্বল, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমাবয় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরেকৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
কেআই//