ঋতুর পালাবদলে আষাঢ়ের উদ্ভাসন ভিন্ন ঘ্রাণে
আদিত্য মামুন
প্রকাশিত : ১০:০৬ এএম, ১৫ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার
আষাঢ়স্য প্রথম দিবস। কবি কালিদাসের বিখ্যাত ঋতু বর্ষা শুরুর দিন। গ্রীষ্মের কঠিন রুক্ষতা শেষে প্রকৃতিতে শোভা পাবে পত্র-পল্লবের সুশোভিত রূপ।
আষাঢ় মানেই ভিন্ন দ্যেতনা, প্রকৃতির কাঙ্ক্ষিত প্রতিচ্ছবি।
বৈচিত্র্যময় ঋতুর পালাবদলে আষাঢ়ের উদ্ভাসন ভিন্ন ঘ্রাণে। রুক্ষ মাটি হয় সোঁদা, বৃষ্টির ফোটা স্নিগ্ধতা ছড়ায় দিগন্তজুড়ে। কদমের পাঁপড়ি দুলে দুলে জানান দেয় বর্ষার আনুষ্ঠানিক আগমন।
জলে-জঙ্গলে ফোটে ফুল, স্রোতের তোড়ে বার্তা দিয়ে যায় মুগ্ধ প্রেম। তাই বর্ষা বরাবরই কাব্যময় গানে-কবিতায়, মমতা ও মোহে। কালীদাস থেকে রবীন্দ্রনাথ কিংবা নজরুল হতে জীবনানন্দের পরাবাস্তবতায় বর্ষার উদয় ধ্যানে ও ধ্বনিতে।
শিল্পীর অবয়বে তুলি যখন আঁচড় মেলে, নারীর মিহিন সেলাই বোনে নঁকশির পাড়- সেখানেও আষাঢ়ের নিরুপাধি সৌন্দর্য ছবি হয়ে ফুটে থাকে বহুদিন।
আষাঢ়ের রজনী কিংবা দিবস তাই মন ও মননের বহুমাত্রিক ভেলায় উড়ে ঘুরে বেড়ায় নি:সীম মেঘের সঙ্গী হয়ে।
বঙ্গদেশের কৃষি কিংবা ক্ষুদ্র অর্থনীতিতেও আষাঢ়ের প্রভাব বহুকেলে। জীবনের বাঁক বদলের ঋতুটিকে ঘিরে আদিগন্ত মাঠে জমে জল, ভেসে থাকা ফসলের ডগা জানান দেয় জীবনের নতুন লড়াই। আষাঢ় তাই বরাবরই অনবদ্য বাঙালির আটপৌরে জীবনে।
এএইচ