এমপি বকুলের নামে হত্যা মামলার তদন্তের আদেশ
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০২:৫৫ পিএম, ১৫ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার
নাটোর-১ আসনের এমপি শহিদুল ইসলাম বকুলসহ ৫ জনের নামে আদালতে দায়ের করা হত্যা মামলা গ্রহণ করে বিশেষ পুলিশ সুপার পিবিআই’কে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার আদালত শুনানি শেষে মামলাটি আমলে গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেসন নাটোর সুপারকে তদন্তের আদেশ দেন।
এরআগে গত ১ জুন নাটোরে বাগাতিপাড়া আমলী আদালতে এজাহার দাখিল করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু সাঈদ মামলটি গ্রহণ করে পরবর্তী আদেশের জন্য আজ ১৫ জুন তারিখ ধার্য্য করেন। সেইসঙ্গে বাগাতিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জকে অপমৃত্য (ইউডি) মামলার রিপোর্ট, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, সুরতহাল এবং ভিসেরা রিপোর্ট আদালতে প্রেরণ করার আদেশ দেন।
অভিযোগ পত্রে শাহনাজ পারভীন উল্লেখ করেন, ২০২০ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি লালপুর বাগাতিপাড়া আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের বাড়ি পাওনা টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে শালিস হওয়ার কথা ছিল। সেখানে শাহনাজ পারভীন তার স্বামী এবং আরও কয়েকজন গেলে এমপি বকুল উত্তেজিত হয়ে শাহনাজের স্বামী আইয়ুব আলীর কাছে টাকা দাবি করেন। টাকা ফেরত না দিলে গাছের সাথে বেঁধে মারধরের হুমকি দেন এবং কাগজে করতে অস্বীকার করলে তাকে চড় থাপ্পর মারেন এমপি।
এরপর আইয়ুব আলী ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। পরে সেখান থেকে তাকে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মখদুম রুপশ বলেন, মামলাটি আমলে গ্রহণ করে আগামী ২৭ জুলাই পরবর্তী ধার্য্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুন মামলাটি আদালতে দাখিলের সময় বাদি পক্ষের আনিজীবী হিসাবে ছিলেন এডভোকেট মমতাজ রায়হান সিনা। পরে তিনি এই মামলার আইনজীবী হিসাবে তার নাম প্রত্যাহার করেন। অ্যাডভোকেট মমতাজ রায়হান সিনা বলেন, তাকে বিস্তারিত না জানিয়ে সহকর্মী শাহ মখদুম রুপশ স্বাক্ষর নিয়েছিলেন। পরে বিস্তারিত জেনে তিনি নাম প্রত্যাহার করেছেন।
এএইচ