রাজশাহীতে লিটনের শেষ প্রচার মিছিল জনসমুদ্রে পরিণত
রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯:৩১ এএম, ২০ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার
আগামীকাল ২১ জুন আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন। প্রচারের শেষ দিন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নৌকা প্রতীকের পক্ষে শেষ মিছিল করা হয়েছে।
মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় নগরীর রানীবাজার জয় বাংলা চত্বর থেকে নির্বাচনী প্রচার মিছিল বের হয়।
মিছিলটি সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট হয়ে কুমাড়পাড়া দলীয় কার্যালয় ঘুরে আরডিএ মার্কেটের সামনে দিয়ে মনিচত্বর হয়ে সোনাদিঘি মোড় হয়ে পুনরায় জয় বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন ও নৌকার পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
প্রচার মিছিল শুরুর পূর্বে জয় বাংলা চত্বরে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভাটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
পথসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ জয় বাংলা চত্বরে জমায়েত হয়েছে। প্রচার-প্রচারণায় মানুষের যে সাড়া পেয়েছি, ২১ জুন নৌকার বিজয় হবে ইনশাল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, যারা নির্বাচন বর্জন করেছে, তারা মনে করেছিল তাদের ছাড়া নির্বাচন হবে না। দেখুন রাজশাহীতে কত উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ভোট বর্জন করে নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি, আগামী জাতীয় নির্বাচনও ঠেকাতে পারবেন না।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, পিছিয়ে পড়া রাজশাহী এখন অনেক এগিয়ে গেছে। রাজশাহীকে বদলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, রাজশাহীকে বদলে দিয়েছি। পরিচ্ছন্ন, সবুজ, শান্তির শহর রাজশাহীর পালকে আরেকটি অর্জন আগামীতে যোগ হবে সেটি হলো কর্মসংস্থান। আগামী ৫ বছরে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই।
সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে নৌবন্দর স্থাপন করা হবে। মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ হয়ে রাজশাহী হয়ে আরিচা পর্যন্ত নৌরুট চালু, রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি বাস ও ট্রেন চালু করতে চাই।
অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ।
এছাড়া কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যাম দত্ত, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ ফ ম আ জাহিদ, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার প্রমুখ।
এএইচ