ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ভোক্তা অধিদপ্তরকে চিনির বাজার তদারকির নির্দেশ বাণিজ্যমন্ত্রীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৩৯ পিএম, ২২ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার

নির্ধারিত মূল্যে বাজারে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে কি-না তা তদারকির জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সেমিনার শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন। বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন ও মেডিসিনাল প্ল্যান্টস এন্ড হারবাল প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতির বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েই চলেছে। যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করার জন্য ট্যারিফ কমিশনকে বলা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, দেশে চিনির দামের সাথে আন্তর্জাতিক মূল্যের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। সেটা আমরা সমন্বয় করবো।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চিনির উপর নির্ধারণ করা শুল্কহার কমানো অথবা ছাড় দেয়ার বিষয়ে আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করবো। এতে চিনির দাম কিছুটা কমানো সম্ভব হবে।

টিপু মুনশি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সাথে সাথে দেশের বাজারে দাম কমিয়ে দেয়া হয়েছে এবং হ্রাসকৃত মূল্যে তেল বিক্রি হচ্ছে। সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে রাখার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো- আমদানি করা পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্যের সাথে সমন্বয় করে বিক্রি করতে হয়। 

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে চিনি ও ভোজ্যতেলের চাহিদার বিপরীতে প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয়। এই দুই পণ্যের দাম উঠা নামা করে কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়ে।

সেমিনারে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আয়ুর্বেদিক ওষুধ শিল্প একটি প্রাচীন চিকিৎসা ব্যবস্থা যা মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে এর উন্নয়ন ও বিকাশে কাজ করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশসমূহ আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিদেশে রপ্তানি করে থাকে। আমরা দেশে উৎপাদিত আয়ুর্বেদিক ওষুধ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারি। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। 

টিপু মুনশি বলেন, সম্ভাবনাময় এ খাতকে কাজে লাগাতে হলে গবেষণার ক্ষেত্র বাড়াতে হবে। এছাড়া এর উপরকারিতা সকলের কাছে পৌঁছাতে হবে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে। আয়ুর্বেদিক ওষুধ এন্টিবায়টিকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

বাংলাদেশ আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ড. হাকীম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক বোর্ডের সদস্য আ.খ. মাহবুবুর রহমান সাকী। স্বাগত বক্তব্য দেন এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক ডা. মো. মিজানুর রহমান।

সূত্র: বাসস

এসবি/