ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মশা নিধনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এক’শ দিনের ক্রাশ প্রোগ্রাম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৪৬ পিএম, ২২ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:৪৮ পিএম, ২২ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এক’শ দিনব্যাপী মশক নিধন ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেছেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

উদ্বোধনের পর সাধারণ মানুষের হাতে সচেতনতামূলক লিফলেট তুলে দেন মেয়র।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজ চত্ত্বরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, আমি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি গবেষণাদল গঠন করি। তাদের বিজ্ঞানভিত্তিক পরামর্শের আলোকে বিমানবাহিনী থেকে আগামী পাঁচ মাসের জন্য মশা নিধনের ওষুধ মজুদ করা হয়েছে। আমরা ৫৭টি হটস্পটসহ ৪১টি ওয়ার্ডে ১০০ দিনব্যাপী ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করব। 

“চসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পাশাপাশি দেড় হাজার আরবান ভলান্টিয়ার এবং রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা এ ক্রাশ প্রোগ্রাম সফল করতে কাজ করবেন। অনেকে ছাদ বাগান করলেও ফুলের টবসহ বিভিন্ন জায়গায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করেন না। আবার কর্মীরা গেলেও পরিষ্কার করতে দেন না। এ অবস্থা প্রতিরোধে প্রয়োজনে ড্রোন কিনে ছাদ পর্যবেক্ষণ করে জরিমানাসহ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার শামীম এহসান বলেন, এবছর ডেঙ্গুতে যে কজন রোগী মারা গেছেন তারা সবাই হাসপাতালে একদম শেষ পর্যায়ে ভর্তি হতে এসেছিলেন। অথচ অসুস্থতার প্রাথমিক পর্যায়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে হয়তো তাদের বাঁচানো যেত। একারণে জনগণের প্রতি আহবান আপনারা ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হোন, চিকিৎসা নিন, সুস্থ থাকুন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার সচেতনতার হওয়ার আবহ্বান জানিয়ে বলেন, সবাই ঘরের আশেপাশে মশা জন্মানোর মতো স্থান থাকলে তা পরিষ্কার করুন।
মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. হাফিজুল ইসলাম, কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্তসহ চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

সূত্র: বাসস

এসবি/