ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চীনের প্রযুক্তি দুর্গ ভাঙার লক্ষ্য ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১১ পিএম, ২৬ জুন ২০২৩ সোমবার

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যুক্তরাষ্ট্রে সফরে ব্যবসায়িক চুক্তি নিয়ে কাজ করছেন। সেখানে আলোচনার একটি ভালো অংশ হবে টেলিকমখাত ও দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তি বিনিময়ের ক্ষেত্র। বিশেষ করে কিছু চীনা ও ইউরোপীয় কোম্পানির ফোরজি, এসজি ও সিক্সজি প্রযুক্তি দুর্গ ভাঙতে যদি ওই আলোচনায় ওপেন রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক বা ওরান সলিউশনের প্রসঙ্গটি আসে, যেটির এখন উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে।

ওরান মডেলে ভারত ক্রমবর্ধমানভাবে একটি বিচ্ছিন্ন পদ্ধতি বেছে নিয়ে টেলিকম প্রযুক্তির দিকে নজর দিচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন শক্তিগুলো জটিল আর সমন্বিত নেটওয়ার্ক তৈরি করছে।

ওরান কী
সেলুলার নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হার্ডওয়্যার সফ্টওয়্যারের একসঙ্গে কাজ করার প্রক্রিয়াকে ওরান বলা হয়। এই সাধারণত এই নেটওয়ার্কের একটি ক্লোজড সেগমেন্ট।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিভিন্ন ভৌগলিক অঞ্চলে ওরান প্রক্রিয়া ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো জোট গঠন করে মল্টি-ভেন্ডর নেক্সট জেনারেশন টেলিকম সমাধানগুলো পেতে পারে।

ভারত ও যুক্তরাষ্টের মধ্যে  উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ওরান ঘিরে আলোচনা ইতোমধ্যে হয়েছে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং মার্কিন প্রতিপক্ষ জ্যাক সুলিভান আলাপ সেরেছেন। 

বিশেষ করে এটি কোয়াড গ্রুপের আলোচনার একটি অংশও হয়েছে, যেখানে চীনের একচেটিয়া আধিপত্য ভাঙার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ করে যখন বিশ্বজুড়ে দেশগুলোর জন্য জাতীয় নিরাপত্তা ও সাইবার হুমকি সত্যিকারের বিপদ হিসাবে প্রমাণিত হচ্ছে।

সিসকোর মতো বেশ কিছু আমেরিকান টেলিকম ও আইটি কোম্পানি সিক্সজি নিয়ে কাজ করার সময় ফোরজি ও এসজির সমস্যা সমাধানের বিষয়ে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর অংশীদার হতে চাইছে। জানুয়ারিতে চালু হওয়া ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিস (আইসিইটি) এর মাধ্যমে অগ্রাধিকারের তালিকায়ও রয়েছে এটি।

আইসিইটির লক্ষ্য হলো বেসরকারি শিল্পের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের গবেষণা ও বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আল, টেলিকম, ওরান, স্পেস, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তিগুলোতে উন্নত সহযোগিতা চালানো।