পশু বেচাকেনায় অতিরিক্ত হাসিল আদায় করলে ব্যবস্থা: র্যাব
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:২৫ পিএম, ২৬ জুন ২০২৩ সোমবার
কোরবানির হাটে কারো বিরুদ্ধে অতিরিক্ত হাসিল গ্রহণের অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
সোমবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে গাবতলী কোরবানির পশুর হাটে র্যাবের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির হাটকেন্দ্রিক র্যাবের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পশুর হাট পরিচালনা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে র্যাবের কন্ট্রোল রুম ও ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে। কোরবানির হাট ও পশু কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কোরবানির পশু বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা রাসায়নিক দ্রব্য খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করে। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর (রোগাক্রান্ত) গবাদি পশু বিক্রি করে। এসবের বিরুদ্ধে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায়, ভেটেনারি ডাক্তারের সমন্বয়ে র্যার টিম গঠন করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। বিভিন্ন হাটে এই টিম পর্যবেক্ষণে যাচ্ছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, কোরবানির হাট কেন্দ্রিক দালাল, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও জাল টাকা কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। রোববার রাতে হাট কেন্দ্রিক অভিযানে প্রতারণা ও ছিনতাইয়ে জড়িত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কমান্ডার মঈন বলেন, পশুর হাটগুলোতে জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন র্যাব কন্ট্রোল রুমে রাখা হয়েছে। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে ৫০ জনের বেশি জাল টাকার কারবারি আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম কাজ করছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু অনলাইন পশু কেনাবেচার পেজ শনাক্ত করা হয়েছে, যারা কোরবানির পশু বেচাকেনা করেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরবরাহ করেননি।
কেআই//