ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ত্রিপুরায় রথ টানতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৬ জনের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৫৮ পিএম, ২৯ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার

ত্রিপুরায় রথ টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

বুধবার (২৮ জুন) ছিল শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের উল্টো রথ দিন।

বিশ্বের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ত্রিপুরার ঊনকোটি জেলার কুমারঘাটেও এদিন বিকেলে উল্টোরথের আয়োজন করা হয়।

ধর্মপ্রাণ মানুষ যখন দড়ি ধরে টেনে রথকে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন আচমকাই উচ্চপরিবাহী বিদ্যুতের তারে রথে লোহার চূড়া লেগে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে বহু মানুষ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাদের শরীরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। আশেপাশে থাকা লোকজন স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস, অগ্নি নির্বাপণ দপ্তরের অফিসে ফোন করেন। খবর পেয়ে অগ্নি নির্বাপণ দপ্তরের গাড়ি ঘটনাস্থলে আসে এবং আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যায়।

কুমারঘাট হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার সঞ্জীত চাকমা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ছয় জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জন বাচ্চা রয়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহতদের কৈলাসহরের জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই আগরতলা থেকে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা।

এদিকে রাজ্যের বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ এ ঘটনার জন্য শোক ব্যক্ত করেছেন। তিনি এক বার্তায় লিখেছেন, কুমারঘাটে উল্টো রথ টানতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে বেশ কয়েকজন পুন্যার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন । এ ঘটনায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত। নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।

তিনি বলেন, এ কঠিন সময়ে রাজ্য সরকার নিহতদের পরিবারের পাশে রয়েছে। রাজ্য সরকার এবং বিদ্যুৎ নিগম সবভাবেই তাদের পাশে থাকবে। যদিও আমি দপ্তরের কাজে রাজ্যের বাইরে থাকায় আজ কুমারঘাট আসতে পারছি না। ঘটনার খবর পেয়েই আমি স্থানীয় বিধায়ক ভগবান চন্দ্র দাস এবং কুমারঘাটস্থিত বিদ্যুৎ নিগমের ডিজিএমের সঙ্গে কথা বলেছি। কেমন করে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল , এ বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য ও ডিজিএমকে নির্দেশ দিয়েছি।

এমএম//