ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শুরু হয়ে গেছে এল নিনো, জানাল বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা

দুলি মল্লিক

প্রকাশিত : ১০:০২ এএম, ৬ জুলাই ২০২৩ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১১:০৬ এএম, ৬ জুলাই ২০২৩ বৃহস্পতিবার

শুরু হয়ে গেছে বৈশ্বিক আবহাওয়ার চরম পরিস্থিতি এল নিনো। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা- ডব্লিউএমও জানিয়েছে, এর প্রভাবে এরইমধ্যে ভূপৃষ্ঠ ও সাগরের উষ্ণতা বেড়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে। বিশ্বজুড়ে বাড়ছে তাপদাহ-বন্যা-খরার মতো বৈরি আবহাওয়া। এল নিনো কমপক্ষে দু’বছর স্থায়ী হবে। এ অবস্থায় বিশ্ববাসীকে চরম পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে এখনই প্রস্তুত হওয়ার তাগিদ দিয়েছে ডব্লিউএমও।

এ বছর থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের যখন যেটাই আসবে সেটা চরম আকার ধারণ করবে। তাপপ্রবাহ অতীতের সব রেকর্ড ভাঙবে। অল্পসময়ে বেশি বৃষ্টি ঝরবে। ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার তীব্রতা বাড়বে। আবহাওয়ার এরকম চরম পরিস্থিতিই- এল নিনো।

আনুষ্ঠানিকভাবে এল নিনো শুরুর ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা ডব্লিউএমও । সংস্থাটি জানিয়েছে, বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তেই এল নিনোর প্রভাব থাকবে।  

গবেষকরা জানান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ায় বাড়বে বন্যা। আর অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে তীব্র তাপদাহ ও খরার মুখোমুখি হতে হবে।

মাঝারি শক্তির এই এল নিনো চলবে চলতি বছরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত। এরপর চরম পর্যায়ে পৌছাবে। পরিণত হতে পারে সুপার এল নিনোতে- আর এ সম্ভাবনা ৫৬ শতাংশ বেশি।

গরম, ঠাণ্ডা ও নিরপেক্ষ- আবহাওয়ার মধ্যে উষ্ণ পর্যায়টি এল নিনো, স্প্যানিশ এ শব্দের অর্থ ছোট ছেলে। পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলীয় প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা যখন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে তখনই এল নিনোর শুরু। দেখা দেয় প্রতি ২ থেকে ৭ বছর পর পর। 

সাধারণত যে বছর এল নিনোর শুরু, তার পরের বছর তীব্র গরম অনুভূত হয়। ২০১৫ সালে এল নিনো শুরু হলেও ’১৬ সালে তাপমাত্রা রেকর্ড ভাঙ্গে।  

কৃষি নির্ভর ও উন্নয়নশীল দেশগুলোই মূলত এল নিনোর প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে।

এএইচ