পিকেএসএফ এর ভূয়সী প্রশংসা বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২৭ পিএম, ৮ জুলাই ২০২৩ শনিবার
বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বিকল্প নেই। সমাজের পিছিয়ে পড়া ৪০ শতাংশ মানুষকে বাদ দিয়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট (অপারেশনস পলিসি অ্যান্ড কান্ট্রি সার্ভিসেস) এড মাউন্টফিল্ড আজ শনিবার শরীয়তপুর জেলায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “আমরা ক্ষুদ্র উদ্যোগসমূহকে সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি, উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক দক্ষতা উন্নয়ন, ব্যবসায়িক মনোভাব সৃষ্টি এবং মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থানে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ সৃষ্টি করছি, যা তাদের উন্নয়নের মূলস্রোতে অন্তর্ভুক্তির পথ উন্মুক্ত করছে।” মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নাধীন পিকেএসএফ-এর কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, এসব কার্যক্রম দেখে তিনি মুগ্ধ।
এড মাউন্টফিল্ডের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিবৃন্দ পিকেএসএফ এবং বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ‘রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অফ ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (RAISE)’ প্রকল্প এবং ‘সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (SEP)’-এর মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ পরিদর্শনে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন পিকেএসএফ-এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুল কাদের; বিশ্বব্যাংকের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজার উভিমানা বাসানিনিয়েনজি, প্রধান অর্থনীতিবিদ ও RAISE প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার এস আমের আহমেদ, সিনিয়র সোশ্যাল প্রোটেকশন স্পেশালিস্ট আনিকা রহমান এবং পিকেএসএফ-এর মহাব্যবস্থাপক ও RAISE প্রকল্প সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার চক্রবর্ত্তী।
তারা RAISE প্রকল্পের আওতায় তরুণ ও কোভিড মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এছাড়া, তারা শিক্ষানবিশি কর্মসূচির আওতায় 'জীবন-দক্ষতা বিকাশ' প্রশিক্ষণের একটি সেশন এবং মাস্টার ক্রাফটস্পার্সনদের মাধ্যমে পরিচালিত শিক্ষানবিশদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি, তারা পালং ইউনিয়নের নড়বালাখানা গ্রামে SEP প্রকল্পের সহায়তাপুষ্ট একটি কাঁসা-পিতলের তৈজসপত্রের বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই দারিদ্র্য বিমোচন করার লক্ষ্য বাংলাদেশ সরকার পিকেএসএফ প্রতিষ্ঠা করে। আর এ লক্ষ্য অর্জনে ক্ষুদ্র উদ্যোগ বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়।
ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে বাস্তবায়নাধীন ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের RAISE প্রকল্পটি ১.৭৫ লক্ষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং সম্ভাবনাময় উদ্যোগসমূহে আর্থিক পরিষেবা, ট্রেডভিত্তিক কারিগরি দক্ষতা উন্নয়ন, জীবন দক্ষতা উন্নয়ন ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বৃদ্ধিতে নানাবিধ সহায়তা প্রদান করছে।
অন্যদিকে, ১৩০ মিলিয়ন ডলার তহবিল সম্বলিত SEP প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুচ্ছভুক্ত ক্ষুদ্র উদ্যোগের ব্যবসাসমূহ পরিবেশবান্ধব করণের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে পিকেএসএফ।
এসবি/