ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

চীনা গুপ্তচর বিরোধী আইন নিয়ে শঙ্কায় কোম্পানি ও ব্যবসায়ীরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৬ পিএম, ৯ জুলাই ২০২৩ রবিবার

চীনের গুপ্তচরবৃত্তির সংজ্ঞার ক্ষেত্রকে নাটকীয়ভাবে আরও প্রসারিত করার একটি সংশোধিত আইন এবার বাস্তবে কার্যকর হচ্ছে। এই আইনের ফলে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করা যেকোন বিষয়ে শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা বেইজিংয়ের আরও বাড়ছে।

গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বেইজিংয়ের গুপ্তচরবৃত্তি বিরোধী আইনের সংশোধনগুলোকে অস্পষ্ট বলছেন মার্কিন সরকার, বিশ্লেষক ও আইনজীবীরা। তাদের মতে, এই আইনের ফলে ইতোমধ্যে অস্বচ্ছ জাতীয় নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি সুযোগ করে দেবে।

ইউএস ন্যাশনাল কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি) বলেছে, শনিবার কার্যকর হওয়া আইনটি বেইজিংকে ‘চীনে মার্কিন কোম্পানিগুলোর কাছে থাকা ডেটা অ্যাক্সেস এবং নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিস্তৃত আইনি ভিত্তি’ দেয়।

এনসিএসসি বলছে, জাতীয় নিরাপত্তা গোপনীয়তার সংজ্ঞার সঙ্গে কোন বিষয়গুলো খাপ খায় সেটি নতুন আইনে  অস্পষ্ট। ফলে কোম্পানিগুলোর ব্যবসার একটি স্বাভাবিক অংশ হিসাবে ব্যবহার করা বিষয়গুলো বেইজিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গিতে গুপ্তচরবৃত্তি বিরোধী আইনের আওতায় আসতে পারে।

মার্কিন কোম্পানি ও ব্যবসায়ীরা স্বাভাবিক বা প্রথাগত ব্যবসায়িক কার্যকলাপের জন্য শাস্তির সম্মুখীন হতে পারে বলে আশঙ্কা এনসিএসসির। কারণ নতুন আইনের ফলে চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের গুপ্তচরবৃত্তি লেবেল এসব কোম্পানির কার্যকলাপে সেঁটে দিতে পারে।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে জনমতের জন্য প্রকাশ্যে আনা এই আইনের সংশোধন গত এপ্রিলে চীনের আইনসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। কথিত গুপ্তচরবৃত্তির সঙ্গে জড়িতদের জন্য কঠোর শাস্তির নিয়ম রয়েছে চীনা আইনে। দোষী সাব্যস্ত করা হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে জটিল মামলায় মৃত্যুদণ্ডেরও বিধান রয়েছে।
সূত্র-দি গার্ডিয়ান