ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

ফ্যাশন ট্রেন্ডে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ডেনিম শিল্প (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী

প্রকাশিত : ১০:৪৩ এএম, ১০ জুলাই ২০২৩ সোমবার | আপডেট: ১২:০১ পিএম, ১০ জুলাই ২০২৩ সোমবার

ডেনিমের ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ বিশ্বখ্যাত একটি ব্র্যান্ড। কম দাম আর গুণগতমানে ফ্যাশন ট্রেন্ডে জনপ্রিয়তাও তুঙ্গে। অথচ এই শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতি থেকেই গেছে। এতে, পুরো শিল্পই ঝুঁকির মুখে পড়ার শংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

তুলা আর বুননের বিশেষত্বের কাপড় ডেনিম। কম বেশি জিনস নামেও পরিচিত। কি উচ্চবিত্ত কিংবা কি মধ্যবিত্ত, সহজে মানানসই কাপড়টি তরুণদের কাছে আকর্ষনীয়। বিশ্বের নানা বাজার ঘুরে এসে এ দেশের ডেনিমেই বারংবার চোখ নিবদ্ধ থাকে বিদেশি ক্রেতাদের।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানার ক্রেতা এই বলছিলেন, অল্প সময়ে খুব ভালো করছে বাংলাদেশ। 

মাহমুদ গ্রুপের আর এন্ড ডি সিনিয়র ম্যানেজার মনিরুজ্জামান বলেন, “ডেনিম এমন একটি প্রডাক্ট দশ থেকে ৫০টি পর্যন্ত সেডে ও কালারে আনা সম্ভব।”

এই উলম্ব উত্থানে লেগেছে কম করে হলেও ১৩ বছর। করোনা মহামারির ধাক্কা সামলাতে না সামলাতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের বাস্তবতা। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নেই শিল্পে, গ্যাসও মিলছে না ডায়িং-এ।  

উদ্যোক্তাদের অভিযোগ, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস না থাকায় চলছে না বয়লার। সব উপকরণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বা মান বজায় রাখা কঠিন হচ্ছে। 

মাহমুদ গ্রুপের চেয়ারম্যান রাফি মাহমুদ বলেন, “আমরা চাহিদা মতো গ্যাস ও বিদ্যুতের সরবরাহ পাচ্ছিনা। এখানে আমাদের দুর্বলতা আছে। এছাড়া কোয়ালিটি ও প্রাইজে আমরা কারো থেকে পিছিয়ে নেই।”

মাহমুদ গ্রুপের চেয়ারম্যান রাফি মাহমুদ বলেন, “ফেব্রিকের জন্য ইয়ান ডাইং করতে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার একটা লর্ড হয়। এই ৬ ঘণ্টার মধ্যে ২ ঘণ্টা চলার পর গ্যাস বন্ধ হয়ে গেলে মাঝখানে যা প্রোসেসে থাকে তার পুরোটাই নষ্ট।”

মেশিন, তুলার মত কাঁচামাল, রাসায়নিক সব উপকরণ আমদানী নির্ভর। উৎপাদনে কম রাসায়নিকের ব্যবহার ও ওয়াশিংয়ে পানির ব্যবহার কমাতে উন্নত প্রযুক্তির খরচ তো আছেই। এমন বাস্তবতায় ডেনিমের শীর্ষ অবস্থান নিয়ে শংকা থাকছেই।

শুরু থেকেই নৈপুণ্যের ডিজাইন আর উৎপাদন ও ওয়াশিংয়ে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে তৎপর ছিলেন উদ্যেক্তারা। তাই মানের বিষয়ে কোন প্রশ্ন নেই; সুযোগ-সুবিধাসহ নতুন নতুন বাজারে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট সম্পাদনের তাগিদ ডেনিম ব্যবসায়ীদের।

একটা সময় চীন ও ভিয়েতনাম ছিল শীর্ষ ডেনিম উৎপাদনকারী দেশ। তারপর বহুদিন এই অবস্থান বাংলাদেশের হাতে রয়েছে। যে ৩০টিরও অধিক কোম্পানি দেশের ডেনিম উৎপাদন করছে তা মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ শুধু পূরণ করতে পারে। যদি সক্ষমতা আরও বাড়াতে হয় তাহলে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন হবে। সেই ক্ষেত্রে মেড ইন বাংলাদেশ ডেনিমের বাজার আরও প্রশস্ত হবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। 

এএইচ