মধ্যরাতে ইবি মেডিকেলে ভাংচুর
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:৫৪ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৩ মঙ্গলবার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে এসে ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের জরুরি বিভাগে এই ঘটনা ঘটে।
বুকের ব্যাথা নিয়ে ইবি মেডিকেল থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে এম্বুলেন্স ছাড়তে দেরি করায় এ ভাংচুর করা হয়। তবে প্রশাসন থেকে এম্বুলেন্স করে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেলে পাঠানো হলেও সে পথিমধ্যে দোকান থেকে ঔষুধ কিনে ফেরত আসে বলে জানা যায়।
মেডিকেল সূত্রে জানা যায়, কাব্য নামের ওই শিক্ষার্থী রাত আনুমানিক ৯টার দিকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নাইট ডিউটিতে থাকা ডাক্তারকে বুকের ব্যথার কথা জানান। পরে ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরবর্তীতে প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে দু’জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে মেডিকেলে আবার আসে কাব্য এবং চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্স চায় সে। পরে এম্বুলেন্স পেতে বিলম্ব হওয়ায় মেডিকেলের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত কাব্য বলেন, মেডিকেলে কোনো ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। একটু ভাঙা থাকায় পায়ের ধাক্কায় চেয়ারটা পড়ে যায়। পরে আমি তা তুলে রাখি। যেহেতু সমস্যা হয়েছিল প্রক্টর স্যার আমাকে কুষ্টিয়া যেতে দেয়নি। পরে আমি তাকে বললাম, লক্ষীপুর নামে একটি মেডিকেল আছে সেখানে যেতে দেন।
ঘটনার সময়ে দায়িত্বরত ড. ওয়াহিদুল হাসান জানান, ওই শিক্ষার্থী বুকে ব্যথা সমস্যা জানালে তাকে চিকিৎসা দেই। তবুও তিনি এম্বুলেন্সে করে কুষ্টিয়া যেতে চায় চিকিৎসা নিতে। এখানে কিছুটা দেরি হওয়ায় তিনি এমন ঘটনা ঘটান।
এম্বুলেন্সের চালক জানান, কাব্য কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করলেও পরবর্তীতে লক্ষীপুর বাজারে থেকে একটি দোকান থেকে কিছু ওষুধ কিনে আবার বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিএম ছাত্রাবাসে ফিরে আসে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, বুকে পেইন নিয়ে ওই শিক্ষার্থী হাসপাতালে গিয়েছিল। পরে কোন কারণে হয়তো শিক্ষার্থী চেয়ার-টেবিল উল্টিয়েছে। পরবর্তীতে এম্বুলেন্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন আনসার সদস্যসহ তাকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়।
এএইচ