উচ্চ মাত্রার ট্রিটিয়ামসহ বর্জ্য নিঃসরণ করছে চীন-দক্ষিণ কোরিয়া: জাপান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:০৩ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৩ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:০৪ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৩ মঙ্গলবার
ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শোধিত পানি ছাড়ার জাপানের পরিকল্পনার সমালোচনা করেছিল চীন। বৃহস্পতিবার চীনের সেই সমালোচনার নিন্দা করে বেইজিং এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে তরল বর্জ্য নিঃসরণের অভিযোগ এনেছে টোকিও। যে বর্জ্যে উচ্চ মাত্রার তেজস্ক্রিয় পদার্থ ট্রিটিয়া রয়েছে বলে অভিযোগ জাপানের। খবর কিয়োডো নিউজের।
জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলেছেন, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে পরমাণু সংশ্লিষ্ট এক জটিলতা থেকে সমুদ্রে পানি নিঃসরণের বিষয়ে চীনকে ব্যাখ্যা করবে জাপান। আর এই জটিলতা তৈরি হয়েছিল ২০১১ সালের মার্চের বিধ্বংসী ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামির ফলে।
জাপান সরকারের শীর্ষ মুখপাত্র মাতসুনোকে উদ্ধৃত করে কিয়োডো নিউজ আরও বলেছে, প্রতি বছর ২২ ট্রিলিয়ন বেকারেলের নিচে ট্রিটিয়াম নিঃসরণের ক্ষেত্রে জাপানের যে মান, তা প্রতিবেশী চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কঠোর।
জাপানের শিল্প মন্ত্রণালয়ের বরাতে কিয়োডো নিউজ জানিয়েছে, ২০২১ সালে চীনের ইয়াংজিয়াং পারমাণবিক কেন্দ্রটি প্রায় ১১২ ট্রিলিয়ন বেকারেল ট্রিটিয়াম নিঃসরণ করেছিল। আর দক্ষিণ কোরিয়ার কোরি পাওয়ার স্টেশন প্রায় ৪৯ ট্রিলিয়ন বেকারেল নির্গত করেছিল।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জাপান যে পরিমাণ পানি নিষ্কাশনের পরিকল্পনা করেছিল তার ব্যাপারে নিজেদের পর্যালোচনা দেশটির কাছে জমা দিয়েছে। সংস্থাটি তাদের পর্যালোচনার উপসংহারে বলেছে, দেশটির পরিকল্পনা বিশ্বব্যাপী সুরক্ষা মানগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং তার ‘মানুষ ও পরিবেশের উপর খুব বেশি তেজস্ক্রিয় প্রভাব’ থাকবে।
জাপান সরকার এবং ফুকুশিমা প্ল্যান্টের অপারেটর টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি হোল্ডিংস ইনকরপোরেশন গ্রীষ্মকালের আগে পরে প্রশান্ত মহাসাগরে এই পানি নিঃসরণের পরিকল্পনা করছে।
যদিও এই ব্যাপারে চীন আপত্তি তুলেছে এবং জাপানকে পরিকল্পনাটি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। চীন বলেছে, টোকিও যদি তা করে তবে বেইজিংও ‘জনস্বাস্থ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে’ আমদানি করা সামুদ্রিক খাবারে তদারকি জোরদার করবে।
(সূত্র : বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড)
কেআই//