জরায়ু-মুখ, স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫১ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৩ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:০৪ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৩ মঙ্গলবার
জরায়ু-মুখ ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে শিক্ষার্থী -শিক্ষক এবং অভিভাবকের প্রতি আহবান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি।
তিনি বলেন, একটু সচেতনতার অভাবে স্তন ক্যান্সার ও জরায়ু মুখের ক্যান্সারে মৃত্যু কাম্য হতে পারে না। এ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সচেতন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।
আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে আয়োজিত জরায়ু-মুখ ক্যান্সার ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী এক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসা, পাঠ্যপুস্তকে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য অন্তর্ভুক্ত করাসহ ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার মাধ্যমে ব্যবস্থা করার উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরো বলেন, জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধ যোগ্য এবং এর জন্য ভ্যাক্সিনও রয়েছে। আবার যথাযথ স্ক্রিনিংসহ দ্রুত ডায়াগনোসিস এর মাধ্যমে স্তন ক্যান্সার নির্ণয় করতে পারলে এই রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। নিজে নিজেও স্তন পরীক্ষা করা সম্ভব। রয়েছে বিনামূল্যে ভায়া টেস্ট ও সিবিই টেস্টের সুবিধা।
বক্তৃতার সময়ে শিক্ষামন্ত্রী ডেঙ্গু প্রতিরোধে নিজের বাসা, বাড়ি-ঘর পরিস্কার রাখা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সবধরনের প্রতিষ্ঠান, অফিসসমূহ পরিস্কার রাখতে সবার প্রতি আহবান জানান।
ইলেকট্রনিক ডাটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যা ভিত্তিক জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রীনিং কর্মসূচির উদ্যোগে চিকিৎসক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিয়ে এই কর্মশালা অনুৃষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তৃতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ ও স্তন ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে স্কুল হেলথ ক্লিনিক চালু একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কার্যক্রমের মধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় জরায়ু-মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসা, স্তন ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসাসহ বহুমুখী কার্যক্রম দেশব্যাপী পরিচালনা করছে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনসচেতনতার কারণে অতীতের তুলনায় জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত্রের হার কিছুটা কমেছে। তবে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে এখনো স্ক্রিনিং কার্যক্রমের আওতায় অনা যায়নি। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে এক্ষেত্রে বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হবে।
কেআই//