ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

থমকে আছে অটোমেশন, ভ্যাট আদায়ে নেই প্রত্যাশিত গতি

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত : ১১:১০ এএম, ১২ জুলাই ২০২৩ বুধবার

ভ্যাট ব্যবস্থার অটোমেশন প্রক্রিয়া থমকে আছে। এতে ভ্যাট আদায়ে আসছে না প্রত্যাশিত গতি। ফলে ভ্যাট দিতে গিয়ে নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এনবিআরের রাজস্ব ব্যবস্থাপনার পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনের কোনো বিকল্প নেই।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল্যসংযোজন কর তথা ভ্যাট থেকে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা আদায় করতে চায় সরকার। সদ্যসমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ভ্যাট আহরণের লক্ষ্য থাকলেও আদায় হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। 

যদিও ভ্যাট আদায় বাড়াতে ২০১২ সালে মূল্যসংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন পাস হয়েছে। যার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবছরে। 

নতুন আইনে ভ্যাটের অভিন্ন হার হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত একাধিক হার রেখেই তা কার্যকর করা হয়েছে। ভ্যাট আদায় সম্পূর্ণ অটোমেটেড পদ্ধতিতে হওয়ার কথা থাকলেও এখনও হয়নি তার বাস্তবায়ন। এতে ভ্যাট দিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছেন বলে অভিযোগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। 

ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. আরিফুর রহমান টিপু বলেন, “প্রত্যেকটা ভ্যাটের জায়গাকে সহজিকরণ এবং এই অটোমেটেশনটা যদি হয় বাংলাদেশে আমরা এটার পক্ষে। কিন্তু এটার সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে, পরিচালনার জায়গাটা স্পষ্ট করতে হবে “

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্যাট আইন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় অটোমেশনের কাজও এগোয়নি। ভ্যাট আদায়ে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেতে হলে পূর্ণ অটোমেশনের পাশাপাশি রাজস্ব বোর্ডের সংস্কারও প্রয়োজন। 

এনবিআর  সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, “২০১২ সালের আইনে যেভাবে আছে ওইভাবে যদি হতো একটা রেট। কিন্তু ৭-৮টা রেট করায় বাস্তবায়নে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অ্যাডমিনিশনকে ফুল অটোমেশন করতে হবে।”

ভ্যাটসহ সার্বিক রাজস্ব-ব্যবস্থাপনার অটোমেশন ছাড়া কর-জিডিপি অনুপাত যৌক্তিক পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব হবে না বলছেন এনবিআরের এই সাবেক চেয়ারম্যান। 

এএইচ