ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

শান্তি-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তত দেশ: প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩২ পিএম, ১২ জুলাই ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ০৩:৩৩ পিএম, ১২ জুলাই ২০২৩ বুধবার

কারো সাথে যুদ্ধে আগ্রহী নয়, তবে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সমুদ্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি উন্নয়নের ধারাকে প্রতিহত করার যে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র রুখতে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। 

বুধবার দুপুরে শেরে বাংলা ঘাঁটি ও নৌবাহিনীর জাহাজ কমিশনিং অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

গণভবন থেকে ভার্চুয়ালী পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নাবিক প্রশিক্ষণ ও এভিয়েশন সুবিধা সম্বলিত ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা এবং খুলনা শীপইয়ার্ড লিমিটেডে নির্মিত ৪টি পেট্রোল ক্রাফট ও ৪টি এলসিইউ-এর কমিশনিং করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, শান্তি ও সার্বোভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তত দেশ। আর এ জন্য নৌবাহিনীকে আধুনিকায়ন, নিজস্ব যুদ্ধ জাহাজ তৈরিসহ সব প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার মৃত্যুর পর সমুদ্রসীমা উদ্ধার ও সামুদ্রিক সম্পদের আহরণের কোন উদ্যোগ কোন সরকার নেয়নি। আওয়ামী লীগই দেশ ও জনগণের এই অধিকার অর্জন ও সংরক্ষণ করেছে।

ব্লু ইকোনমি, পায়রা সমুদ্র বন্দর স্থাপনসহ নানা পদক্ষেপ নেয়ায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সম্প্রসারিত হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামুদ্রিক সম্পদের নিরাপত্তা দেয়ার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের।

স্বাধীন দেশের সম্মান রক্ষায় নৌবাহিনীকে বিশ্বমানের বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলাত প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পায়রা বন্দরসহ উপকূলীয় এলাকার সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নৌ-সদস্যদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনায় আধুনিকায়ন করা হয়েছে ‘বানৌজা শের-ই-বাংলা’ ঘাঁটির।

নবনির্মিত এ সকল জাহাজ ও ঘাঁটি কমিশনিং এর মাধ্যমে এ অঞ্চলে অবৈধ মৎস্য আহরণরোধ, চোরাচালান দমন, মানবপাচার রোধ, জলদস্যুতা এবং মাদকপাচার রোধসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিরসনকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।

এএইচ