শেখ হাসিনার অধীন ছাড়া নির্বাচন নয়: ওবায়দুল কাদের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:২৭ পিএম, ১২ জুলাই ২০২৩ বুধবার
আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি অতিথিদের উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধু এই মুহূর্তে যারা ঢাকায় আছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আপনারা চান ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন। আমাদের উদ্দেশ্যও ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করা। কিন্তু এই ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশনকে যারা বাধা দেবে, আমরা তাদেরকে প্রতিহত করবো।
বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে এক শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
কাদের বলেন, বিএনপি খবর জানে? তাদের এক দফা হলো শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আর আওয়ামী লীগের এক দফা হলো সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন।
তিনি বলেন, আমাদের এক দফা- সংবিধান সম্মত নির্বাচন। এই লক্ষ্য সামনে রেখে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। কোনো বাধা দেবো না। কাউকে আমরা আক্রমণ করতে যাবো না। কিন্তু ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন আয়োজনে যারা বাধা দেবে, তাদেরকে প্রতিহত করবো।
‘খেলা হবে’- উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি অনেক স্বপ্ন দেখেছিল। আজকেও কাঁথা-বালিশ নিয়ে অনেক লোক আনার স্বপ্ন দেখেছিল। আগেও স্বপ্ন দেখেছিল। তাদের সেই স্বপ্ন গোপীবাগের গরু হাটে মারা গেছে। এখন স্বপ্ন দেখছে তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ। তাদের ওই স্বপ্ন শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নয়াপল্টনের কাদা-পানির ভেতরে এক দফার চিহ্নে আটকে গেছে।
কাদের আরো বলেন, বিএনপি জানে, নির্বাচন হলে তারা হেরে যাবে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তায় তারা ভেসে যাবে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তাকে তারা হিংসা করে। তারা পদ্মা সেতু চায়নি, তারা বঙ্গবন্ধু টানেল চায়নি, তারা মেট্টোরেল চায়নি, রুপুর প্রকল্প তারা চায়নি। একদিনে ১০০ সেতুর উদ্ধোধন তারা চায়নি। তারা শেখ হাসিনার উন্নয়ন আর সফলতা চায়নি।
নেতা কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রস্তুত থাকবেন। মাঠ ছাড়বেন না। শেখ হাসিনা যখন ডাক দেবেন। তখনই আপনারা মাঠে নেমে যাবেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ খেলতে নামলে কোনো অপশক্তি মাঠে দাঁড়াতে পারবে না।
সমাবেশে ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে সারাদেশে সমাবেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, ড, আবদুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। এছাড়া, মহানগরীর আওয়ামী লীগের নেতারাও বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী।
এমএম//