রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু (ভিডিও)
আব্দুল আজিজ, কক্সবাজার থেকে
প্রকাশিত : ১২:৪৭ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২৩ বৃহস্পতিবার
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও এর আসপাশের এলাকায় ভয়াবহভাবে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। প্রতিদিন হাসপাতালে ১০ থেকে ১২ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। আর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে হয়েছে ১ হাজার ৫৪৮ জন। মারা গেছে ৩ জন।
প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর ভীড় বাড়ছে কক্সবাজারের সদর হাসপতালে। বিছানা না পেয়ে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে মেঝেতে।
জানুয়ারি থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ৬৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৯১ জন কক্সবাজারের স্থানীয় এবং ১ হাজার ৫৪৮ জন রোহিঙ্গা। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি ১১৫ জনের মধ্যে স্থানীয় ৬৫ এবং রোহিঙ্গা ৫০ জন।
উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস করছে। এই মৌসুমে বৃষ্টি শুরুর সাথে সাথে ক্যাম্পগুলোতে চোখ রাঙ্গাতে শুরু করে ডেঙ্গু। চলতি মাসের শুরুতে বাড়তে থাকে জ্বরের প্রকোপ। সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগি শনাক্ত করা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশিকুর রহমান বলেন, “ডেঙ্গু রোগীদের বাড়তি চাপ রয়েছে। রোগীদের জন্য ওয়ার্ডের বারান্দাসহ করিডোরে ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
ডেঙ্গু ঝুঁকি কমাতে জমে থাকা পানি অপসরণ ও মশারী ব্যবহারের পরামর্শ জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার।
কক্সবাজার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, “স্কুল-কলেজগুলো খুলছে, এগুলো অনেক দিন বন্ধ ছিল। বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে আছে এগুলো পরিষ্কার করা জরুরি।”
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় বলছে, ডেঙ্গু সতর্কতায় সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
হেলথ কো-অর্ডিনেটর ডঃ আবু তোহা বলেন, “পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্লিচিং পাউডার, ল্যাবরেটরিতে ডেঙ্গু নির্ণয়ের জন্য পর্যাপ্ত ডেঙ্গু কিটস সরবরাহ করার বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে।”
বিভিন্নস্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় এডিশ মশা জন্ম নিচ্ছে। তাই সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদও দিয়েছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়।
এএইচ