অভিনেতাদের ধর্মঘটে অচল হলিউড
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২৫ এএম, ১৪ জুলাই ২০২৩ শুক্রবার
হলিউডের বিগত ৬৩ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্দোলনে নেমেছিলেন চিত্রনাট্যকাররা। তাদের পদাঙ্কই অনুসরণ করলো হলিউডের অভিনেতাদের সংগঠন হলিউড অ্যাক্টরস ইউনিয়ন। বিভিন্ন দাবিতে স্টুডিও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দাবির বনিবনা না হওয়ায় আন্দোলনে নামেন তারা। খবর বার্তা সংস্থা এপির।
১৯৬০ সালের পর এই প্রথম আন্দোলনে নামল হলিউডের অভিনেতাদের সংগঠন। আজ থেকে ৬৩ বছর আগেও একবার হলিউড অভিনেতারা আন্দোলনে নেমেছিলেন। সে সময় হলিউড অ্যাক্টরস গিল্ডের সভাপতি ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) মধ্যরাতে অ্যাক্টর ইউনিয়নের সভাপতি ফ্র্যাঁ ড্রেশার হলিউডের স্টুডিও মালিকদের কড়া সমালোচনা করেন ধর্মঘটের আহ্বান জানান।
ড্রেশার বলেন, ‘হলিউডে বিনিয়োগকারীরা আজ নিজেদের ওয়ালস্ট্রিট খুলে বসেছে এবং লোভকে প্রাধান্য দিতে তারা এই শিল্পটিকে একটি মেশিনে পরিণত করেছে। তবে তারা মেশিনটি চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অবদানকারীদের কথা ভুলে যায়। এটি খুবই জঘন্য। তাদের ধিক্কার, তারা ইতিহাসের ভুল পিঠে দাঁড়িয়ে।’
জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত একাধিক স্টুডিও-র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয় অভিনেতা ইউনিয়নের। কিন্তু ইউনিয়নের প্রতিটি দাবি মেনে নিতে পারেনি স্টুডিও কর্তৃপক্ষ।
অভিনেতাদের দাবি, তাদের বেতন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে জনপ্রিয়তা অনুযায়ী প্রণোদনা দিতে হবে। আগে টেলিভিশনের জনপ্রিয় সিরিয়ালগুলি ভিউ অনুযায়ী অভিনেতাদের প্রণোদনা দিত। ইউনিয়নের অভিযোগ, নেটফ্লিক্সসহ অন্যান্য অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলি ভিউয়ের হিসাব পর্যন্ত দেয় না। ফলে কোনটি জনপ্রিয় হচ্ছে, তা বোঝাও যায় না, প্রণোদনাও দেওয়া হয় না।
এই আলোচনার কয়েক ঘণ্টা আগে, স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড, আমেরিকান ফেডারেশন অফ টেলিভিশন অ্যান্ড রেডিও আর্টিস্টসহ অভিনেতাদের বিভিন্ন সংগঠন ডিজনি, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন এবং অন্যান্য নিয়োগকর্তাদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠানের জোট অ্যালায়েন্স অফ মোশন পিকচার অ্যান্ড টেলিভিশন প্রযোজকদের তিন বছরর একটি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পরে তারা বিষয়টি আলোচনায় বসেন কিন্তু কোনো ঐকমত্য না হওয়ায় আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়।
৬৩ বছর পর এভাবে হলিউড ইন্ডাস্ট্রি কার্যত বন্ধ হয়ে গেল। ধর্মঘট শুরু হওয়ার খবর পেয়ে লন্ডনে ওপেনহেইমারের প্রিমিয়ার শো ছেড়ে অভিনেতাদের বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। হলিউডের সব স্তরের অভিনেতাই এই ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছেন বলে ইউনিয়ন দাবি করেছে।
ইউনিয়ন জানিয়েছে, এর ফলে একদিকে যেমন শুটিং বন্ধ থাকবে, অন্যদিকে বড় বড় ছবির প্রিমিয়ারে অভিনেতারা উপস্থিত হবেন না। ছবির প্রোমোশনেও তাদের দেখা যাবে না। এর অর্থ, বেশ কয়েকটি ছবি মুক্তি পেয়েও প্রোমোশনে যেতে পারবে না।
এমএম//