বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি সহ্য করতে পারিনি: শামীম ওসমান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২৫ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২৩ রবিবার | আপডেট: ০৮:২৬ পিএম, ১৬ জুলাই ২০২৩ রবিবার
গত ১২ জুলাই আমেরিকার জ্যাকসন হাইটে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। এঘটনার পর থেকে শামীম ওসমানের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা প্রতিক্রিয়া জানতে চান।
শনিবার (১৫ জুলাই) রাতে আমেরিকায় ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে এক ভয়েস ম্যাসেজে শামীম ওসমান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, দেখেন আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমি একটা কথা বলতে চাই যে যারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার মতো একটা সভ্য দেশে এসেছে এবং সেখানে এসে তারা সভ্যতাটা শেখেনি। আমেরিকার মতো একটি সভ্য দেশে যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে সেটা অবশ্যই দুঃখজনক ঘটনা।
তবে তাদের নেতা যে শিক্ষা দিয়েছেন তাদের কাছে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভয়েস ম্যাসেজে তিনি বলেন, বিষয়টি হচ্ছে আমি ওখানে একাই ছিলাম। আমার আমার সঙ্গে আমার এক ছোট ভাই ছিলেন সে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। আমি হয়তো গাড়ি থেকে নামতাম-ই না।
তারা যদি শুধু আমাকে গালি দিত কিংবা আমি তাদের সামনেই যেতাম না। যখন তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে অত্যন্ত বাজে মন্তব্য করেছে। তখন আমাকে নামতেই হয়েছে। কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।
যা হোক এ বিষয় নিয়ে আমাদের নারায়ণগঞ্জসহ সব জায়গায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। আমি সবার কাছে অনুরোধ করব যে, এতে আমাদের উত্তেজিত হওয়ার কিছু নাই। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের নেত্রী আমাদের এই শিক্ষা দেন নাই। তাই সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করব এবং দয়া করে আরেকটি অনুরোধ করব যে, এই বিচারের ভার জনগণের কাছেই ছেড়ে দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, সেখানে ঘটনার দিন যেটা আমার কাছে ভালো লেগেছে সেটা হচ্ছে যে, যেহেতু আমি একা ছিলাম। তারা অনেক লোক ছিল। কিন্তু প্রতিবাদ আমি একা করি নাই। প্রতিবাদ করেছেন জ্যাকসন হাইটে যারা বিভিন্ন দোকানের মালিকরা আছেন। তারা নিজেরাই শেষ পর্যন্ত প্রতিবাদ করেছেন এবং একটা পর্যায়ে প্রতিরোধ করেছেন। তাই তারা ওখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। জনগণ যে আমাদের সঙ্গে আছে দেশে এবং বিদেশে এটি প্রমাণিত হয়েছে। তাই আমি আপনাদের গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি সবাই যেন একটু শান্ত থাকেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ১২ জুলাই স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের লিটল বাংলাদেশ (৭৩ স্ট্রিট) এলাকায় যান শামীম ওসমান। তিনি একটি কালো রঙের রেঞ্জ রোভার গাড়িতে ছিলেন। তাকে দেখামাত্র রাস্তার বিপরীতে থাকা নিউ ইয়র্ক মহানগর বিএনপি নেতা রাব্বী, সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা বাদল মির্জাসহ কয়েকজন যুবক শামীম ওসমানকে নিয়ে প্রথমে কটূক্তি করতে থাকে। তখনো তিনি গাড়িতেই ছিলেন। পরক্ষণেই কটূক্তিকারীরা প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। এতে গাড়ি থেকে একাই নেমে এসে সেই বিএনপিকর্মীদের সামনে এসে শামীম ওসমান কথা বলেন ও তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করেন।
তিনি ওই বিএনপি নেতা কর্মীদের বলেন, আমি কিন্তু শামীম ওসমান। এক পর্যায়ে শামীম ওসমান ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে এ খবর পেয়ে আমেরিকার জ্যাকসই হাইটের বিভিন্ন দোকান মালিকরা কটূক্তিকারীদের প্রতিবাদ করেন। এ সময় কটূক্তিকারীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের হাতাহাতি ধাক্কাধাক্কি হয়। সেই সময় শামীম ওসমান উভয়পক্ষকে নিবৃত থাকার জন্য অনুরোধ করছিলেন। ইতিমধ্যে জ্যাকসন হাইটে ঘটে যাওয়া ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাল হয়েছে এবং টক অফ দা কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে।
কেআই//