ডেঙ্গু প্রতিরোধে দেশে টিকা তৈরির কাজ শুরু (ভিডিও)
শাকেরা আরজু
প্রকাশিত : ১১:০০ এএম, ১৮ জুলাই ২০২৩ মঙ্গলবার
ডেঙ্গু প্রতিরোধে টিকা তৈরির কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, বিসিএসআইআর। সারাদেশ থেকে ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক এডিস মশার নমুনা সংগ্রহ করে চলছে জিনোম সিকোয়েন্সের কাজ। মশার জীবতত্ত্ব সম্পর্কে জানা গেলেই টিকা তৈরি করা যাবে বলে আশাবাদি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. অধ্যাপক আফতাব আলী শেখ।
‘ডেঙ্গু’ বর্তমানে এক আতঙ্কের নাম। প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও।
ডেঙ্গুর প্রথম বিবরণ পাওয়া যায় ১৭৮৯ সালে, তখন এক মহামারীর কবলে পড়ে এশিয়া, আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকা। ১৯০৭ সালে এটি হয়ে ওঠে ভাইরাসজনিত রোগের মধ্যে দ্বিতীয়। ১৯৭০ সালে শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয় ডেঙ্গু।
ডেঙ্গুর টিকা আবিষ্কারে বিভিন্ন দেশ প্রচেষ্টা চালালেও শতভাগ সাফল্য আসেনি। প্রচলিত টিকা কেবল ২-১ ধরণের ডেঙ্গু ভাইরাসের ক্ষেত্রে কার্যকর।
সম্প্রতি ডেঙ্গুর টিকা তৈরিতে কাজ করছে বিসিএসআইআর। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জানালেন, সারাদেশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ বলেন, “আমরা জিনোম সিকোয়েন্স করার চেষ্টা করবো, এর ফলে জীবতত্ত্ব সম্পর্কে আরও বেশি তথ্য জানতে পারবো। আর জানতে পারলে প্রথম স্টেপ নেবো এটা আইডেন্টিফাই করার কীট তৈরি। এটা যদি সম্ভব হয় তখন ডেঙ্গু প্রতিরোধে টিকা তৈরির প্রয়াস চলবে।”
ডেঙ্গু ভাইরাসের ৪টি ধরণের কারণে টিকা তৈরি কষ্টসাধ্য বলছেন চেয়ারম্যান। দেশে এতো বছরে প্রতিষেধক তৈরির উদ্যোগ না নেয়ার কারণও জানালেন বিসিএসআইরের চেয়ারম্যান।
অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ বলেন, “অনেকেই চেষ্টা করেছে কীভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করে ডেঙ্গু নির্মূল করা যায়। কোথাও কোথাও আমরা দেখেছি ১০ থেকে ১৬ বছর বয়সী মানুষের জন্য ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে কিন্তু সেটা ইফেক্টিভ হতো না। সেই কারণে নতুন নতুন আসায় নতুন নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার মাধ্যমে আমরা এখন চেষ্টা করছি ভ্যাকসিন তৈরির উপায় খোঁজার।”
এডিস মশার ডিম থেকে লার্ভা জন্মাতে পারে ৬ মাস পরেও। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে ডেঙ্গু বিস্তাররোধে সতর্ক থাকার পরামর্শ বিষেজ্ঞদের।
এএইচ