ঢাকা, সোমবার   ১৩ জানুয়ারি ২০২৫,   পৌষ ৩০ ১৪৩১

কাশ্মীরে ফের রেকর্ড সংখ্যক বাড়ছে পর্যটক 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:২৭ পিএম, ১৮ জুলাই ২০২৩ মঙ্গলবার

দীর্ঘ বিরতির পর বিদেশি পর্যটকরা আবারও মনোমুগ্ধকর ও মনোরম গন্তব্য কাশ্মীরে ছুটে আসছেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণীয় উপত্যকা কাশ্মীর ভ্রমণ করেছেন। কর্তৃপক্ষের আশা, চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। 

পর্যটনের এই পুনরুত্থান অঞ্চলটির জন্য আশাব্যাঞ্জক এক ইঙ্গিত। কারণ এটি বিশ্বের এই দম বন্ধ হয়ে যাওয়া অংশের ব্যাপারে ভ্রমণকারীদের মধ্যে আস্থা ও আগ্রহ পুনরায় জেগে উঠা নির্দেশ করে।

পর্যটন বিভাগের অফিসিয়াল বিবৃতি অনুসারে, জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে উপত্যকাটি ভ্রমণকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৬১ জনে। যা খুবই আশাব্যাঞ্জক। এই সংখ্যাটি আগের বছরের রেকর্ডের চেয়ে উল্লেখযোগ্য উল্লম্ফন। কারণ গত বছর একই সময়ে মাত্র চার হাজার ২৮ জন বিদেশি পর্যটক উপত্যকাটি ভ্রমণ করেছিলেন। 

এদিকে এই ব্যাপক আগমন বিদেশি পর্যটকদের পছন্দের গন্তব্য হিসেবে কাশ্মীরের আকর্ষণ ক্রমশ বৃদ্ধির বিষয়টি নির্দেশ করে। আর বিদেশি পর্যটকদের আগ্রহ পুনরায় বৃদ্ধির পেছনে বেশ কয়েকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

প্রথমত, এই অঞ্চলে মজবুত নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং স্থিতিশীলতা ভ্রমণকারীদের মধ্যে উপত্যকাটির ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সহায়ক হয়েছে। নিরাপদ ও ওয়েলকামিং পরিবেশ তৈরিতে স্থানীয় প্রশাসন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টা ফলফ্রসূ হয়েছে। কারণ পর্যটকরা এখন উপত্যকাটি ঘুরে দেখতে আরও বেশি নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।      

এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে এই উপত্যকাটির পর্যটনের প্রচারে সরকার এবং পর্যটন বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সহযোগিতামূলক বিপণন প্রচারাভিযান, রোডশো এবং বৈশ্বিক পর্যটন ইভেন্টে অংশগ্রহণ কাশ্মীরকে পছন্দনীয় গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরতে সাহায্য করেছে। আদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং উপত্যকায় পাওয়া অনন্য অভিজ্ঞতাও এই পছন্দ তৈরিতে সাহায্য করেছে। 

সবচেয়ে বড় কথা পর্যটক আগমনের এই বৃদ্ধি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য অর্থনৈতিক সুবিধা তৈরি করে এবং কাশ্মীরের অনন্য সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে বড় ধরনের অবদান রাখে।
সূত্র: এএনআই
কেআই//