ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

অপ্রচলিত বাজারে দ্রুত বাড়ছে পোশাক রপ্তানি (ভিডিও)

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত : ১১:০৮ এএম, ১৯ জুলাই ২০২৩ বুধবার

অপ্রচলিত বাজারে দ্রুত বাড়ছে পোশাক রপ্তানি। বিদায়ী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি প্রায় সাড়ে ৩১ শতাংশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রচলিত-অপ্রচলিত উভয় বাজারই গুরুত্বপূর্ণ। বাজার ও পণ্যে বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ তাদের। 

বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে ৮৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ অর্থাৎ ৪৬ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলারই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। আর রপ্তানির সিংহভাগই হয়েছে ইউরোপ ও আমরিকার মতো প্রচলিত বাজারে। তবে পশ্চিমা বাজারে এবার রপ্তানি খানিকটা কম হয়েছে। কিন্তু উল্টো চিত্র অপ্রচলিত বাজারে। 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বলছে, গেল অর্থবছরে অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার, প্রবৃদ্ধি ৩১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি ছিল ২৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। 

এদিকে, গেল অর্থবছরে জাপানে ১ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন, অস্ট্রেলিয়ায় ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন এবং ভারতে ১ দশমিক ০১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। এরমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতে প্রথমবারের মতো বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির মাইলফলক অর্জন করে বাংলাদেশ।

ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পণ্য বৈচিত্রকরণ ও বাজার বহুমুখী করার সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের ইতিবাচক ফল মিলেছে। অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হবে। 

বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “আমাদের নন-ট্রাডিশনাল মার্কেটগুলো চায়নার দখলে ছিল সেই জায়গাটা একটু কমেছে। কমার কারণে ওখানকার বায়াররা বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে।”

র‌্যাপিড চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “ইন্ডিয়া-জাপান-কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার কথা বলা হয়েছে। এই মার্কেটগুলো আমরা নন-ট্রাডিশনাল বলবো কিনা সেটা একটি বিষয়। কারণ এই মার্কেটগুলোতে বেশ কয়েকবছর যাবত রপ্তানি করছি এবং ভালো করছিলাম।”

এদিকে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতেও রপ্তানি বাড়ছে। তবে রপ্তানি আয় আশাব্যঞ্জক নয়। যদিও এ দুই অঞ্চলেও পোশাক রপ্তানির বড় সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।  

ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “বাংলাদেশের জন্য নন-ট্রাডিশনাল মার্কেট হচ্ছে চায়না, মধ্যপ্রাচ্য ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো। এই দেশগুলোতে সবাই মোটামুটি ভালো করছে।”

মোহাম্মদ হাতেম বলেন, “মধ্যপ্রাচ্য আমাদের জন্য অপারচুনিটি, ল্যাটিন আমেরিকার বড় মার্কেট ব্রাজিল সেখানে আমাদের ট্রেডি ব্যারিয়ার আছে।”

অপ্রচলতি বাজারে পোশাক রপ্তানিতে ৪ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয় সরকার। গত অর্থবছরে মোট পোশাকের রপ্তানিতে অপ্রচলিত বাজারের অংশীদারিত্ব ১৪.৯৬ শতাংশ থেকে বেড়ে উন্নীত হয় ১৭.৮২ শতাংশে। 

এএইচ