ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

নিউইয়র্কে সাপ্তাহিক ঠিকানার ৩৪ বছর পদার্পণ উদযাপন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৪৬ পিএম, ২২ জুলাই ২০২৩ শনিবার

নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত প্রাচীনতম ও বহির্বিশ্বের সর্বাধিক প্রচারিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’র জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। পত্রিকাটির ৩৪ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে গত ১৬ জুলাই রোববার দুপুরে সেখানে আয়োজন করা হয় এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের। এই উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছিল নিউইয়র্কের কুইন্সের অভিজাত পার্টি হল ওয়ার্ল্ডস ফেয়ার মেরিনা। সঙ্গে ছিল পত্রিকাটির বিশিষ্ট লেখকদের সম্মাননা প্রদান। তাইতো ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়েও দুপুর হতেই ওয়ার্ল্ডস ফেয়ার মেরিনায় সমবেত হতে থাকেন সুহৃদ, স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা।

সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে অতিথিদের উপস্থিতি। একে একে আসতে থাকেন মূলধারার রাজনীতিবিদ, কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, কবি-সাহিত্যিক, লেখক-সাংবাদিকসহ প্রবাসের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। একটা সময় সবার প্রাণবন্ত উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থল কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। বৃষ্টিস্নাত দুপুরে পরিচিতজনদের সঙ্গে আলাপচারিতা ও গল্পে উপভোগ্য সময় কাটান অতিথিরা। সাত শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তারা ঠিকানাকে জানান ফুলেল শুভেচ্ছা।

অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা বলেন, প্রবাসীদের আস্থা ও বিশ্বস্ততার আরেক নাম ঠিকানা। পত্রিকাটি ছোট-বড় সকল মহলের পাঠযোগ্য। কেবল সংবাদ প্রকাশের মধ্যেই পত্রিকাটি নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেনি, প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটি বিনির্মাণেও প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সত্যকে পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করতে ঠিকানার বিকল্প নেই। প্রবাসে বাংলাদেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি তুলে ধরে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ঠিকানা। বক্তারা আগামী দিনেও ঠিকানার পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এই মিলনমেলায় বিশিষ্টজনদের সামনে ঠিকানার পক্ষ থেকেও সত্য প্রকাশে অবিচল থাকা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জনপ্রিয় ও প্রখ্যাত অভিনেত্রী শিরীন বকুল এবং জনপ্রিয় উপস্থাপক ও সাংবাদিক আশরাফুল হাসান বুলবুল। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী। ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয়ে অনুষ্ঠান চলে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানের বিভিন্ন পর্বে ছিল উদ্বোধনী পর্ব, উদ্বোধনী নৃত্য, স্বাগত পর্ব। অনুষ্ঠনের শুরুতে ঠিকানার পরিচিতি তুলে ধরা হয়। এরপরই আসে উদ্বোধনী ঘোষণা। বাজানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ও আমেরিকার ন্যাশনাল অ্যানথাম। এসময় উপস্থিত অতিথিরা দাঁড়িয়ে দুই দেশের প্রতি সম্মান জানান। অনেকেই বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে কণ্ঠ মেলান। এরপর মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ এবং বিশ্বেও সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের প্রতি দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপরই ছিল উদ্বোধনী নৃত্য। এই পর্বে দেশাত্মবোধক গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে নীলা জেরিন ডান্স একাডেমি। তাদের নৃত্য পরিবেশনা অতিথিদের মুগ্ধ করে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ঠিকানার প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান ঠিকানার পথচলা, সাফল্য এবং কমিউনিটি বিনির্মাণে ঠিকানার অবদানের কথা তুলে ধরেন। এরপর বক্তব্য দেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের ফার্স্ট সেক্রেটারি প্রসূন চক্রবর্তী। তারা ঠিকানার সাফল্য কামনা করেন।

অনুষ্ঠানের মূল বক্তা ছিলেন ঠিকানার সম্পাদকম-লীর সভাপতি ও সাবেক এমপি এম এম শাহীন। তিনি তার বক্তৃতায় ঠিকানার পথচলা এবং ৩৪ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশনা অব্যাহত রাখার সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। ঠিকানা কমিউনিটির জন্য যে অবদান রেখে চলেছে, তাও উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করবেন বলেও উপস্থিত অতিথিদের অবহিত করেন এবং তাদের দোয়া কামনা করেন। আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হলে প্রবাসীদের জন্য কী কী ভূমিকা রাখতে চান, সেটাও উল্লেখ করেন। তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালে যেসব কাজ করেছেন, তা তুলে ধরেন।

বক্তৃতার একপর্যায়ে আবেগপ্রবণ হয়ে এম এম শাহীন বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে আমি আমার আমেরিকার সম্পদ, ঢাকার সম্পদ এবং কুলাউড়ার সম্পদ বিক্রি করেছি। আমি মানুষের জন্য রাজনীতি করি, নিজের জন্য নয়। তাই আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের তার পাশে থাকার অনুরোধ জানান। তিনি ঠিকানা পরিবারের মুহম্মদ শামসুল হক, মুশরাত শাহীন অনুভা, শহিদুল ইসলাম এবং নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরীসহ অন্য সবাইকে ঠিকানায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান। ঠিকানা পরিবারের সবাইকে মঞ্চে ডেকে নেন। মূল বক্তব্যের পর অনুষ্ঠিত হয় ঠিকানা সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠান সাহিত্য, কবিতা ও ছড়া লিখে ঠিকানার পাতাকে সমৃদ্ধ করায় ঠিকানার পক্ষ থেকে সাতজনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সাহিত্যে এবিএম সালেহ উদ্দিন ও রোমেনা লোদী, কবিতায় কাজী আতিক, বেনজীর শিকদার ও রওশন হাসান এবং ছড়ায় মনজুর কাদের ও মামুন জামিল পুরস্কার লাভ করেছেন।

সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন নিউইয়র্কের স্টেট অ্যাসেম্বলি মেম্বার জেনিফার রাজকুমার, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের ডেপুটি কমিশনার ফর ট্রেড ইনভেস্ট অ্যান্ড ইনোভেশন দিলীপ চৌহান, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিস অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসেস চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার মীর বাসার, সিটি মেয়র অফিসের এথনিক অ্যান্ড কমিউনিটি মিডিয়া এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মিস্টার হোজে বেওনা এবং ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন ও প্রধান সম্পাদক মুহম্মদ ফজলুর রহমান।

এর আগে পুরস্কারপ্রাপ্তদের জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরা হয়। এরপর একে একে তাদের হাতে ফুলের তোড়া ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার প্রদান শেষে তারা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সবাই ঠিকানার সাফল্য কামনা করেন এবং ঠিকানার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এরপর অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কারপ্রাপ্তদের সঙ্গে অতিথিদের ফটোসেশন পর্ব। প্রবাসের জনপ্রিয় ফটো সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকী পুরো অনুষ্ঠানের স্থিরচিত্র ধারণ করেন। পাশাপাশি পুরো অনুষ্ঠানটি তার ফেসবুক থেকে তিনি সরাসরি সম্প্রচার করেন। অনুষ্ঠানে দুই পর্বে খাবার পরিবেশন করা হয়। অতিথিদের বাংলাদেশি সব খাবারের মেন্যু দিয়ে অ্যাপায়ন করানোয় তারা ভীষণ খুশি। খাবারের পর্ব শেষে ঠিকানার নতুন ওয়েবসাইট এর উদ্বোধন করা হয়। জেনিফার রাজকুমার এর উদ্বোধন করেন। তার সঙ্গে ছিলেন রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর নুরুল আজিম, জ্যামাইকা ফ্রেন্ডস সোসাইটির উপদেষ্টা এবিএম ওসমান গণি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম এ আজিজ প্রমুখ। এখন থেকে ঠিকানার নতুন ওয়েবসাইটে পাঠক ঠিকানার সর্বশেষ সব খবর পড়তে পারবেন।

এরপর আমেরিকায় বেড়ে ওঠা ও মূলধারায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন এমন দুজন ব্যক্তিত্বকে পুরস্কৃত করা হয়। ‘বাংলাদেশিস ব্রেকিং বেরিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ শিরোনামে যে দুজন নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিকে সম্মাননা জানানো হয় তারা হলেন, নাবিল আলমগীর (সিইও, লাঞ্চ বক্স ডট আইও) এবং জিহান ওয়াজেদ (মূলধারার চিত্রশিল্পী)। তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জেনিফার রাজকুমার। ঠিকানার পক্ষ থেকে রুহিন হোসেন তাদের সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ঠিকানার এই আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, ব্যবসায়ী নেতা, কবি, সাহিত্যিক, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক, গল্পকার, রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর, মর্টগেজ বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক, আইনজীবী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং ঠিকানার শুভানুধ্যায়ী, শুভাকাক্সক্ষী ও বিজ্ঞাপনদাতারা উপস্থিত ছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়া ও টেক্সাসসহ বিভিন্ন স্টেট থেকে আগত অতিথিরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। নিউইয়র্কের স্টেট অ্যাসেম্বলি মেম্বার জেনিফার রাজকুমার ঠিকানাকে প্রক্লেমেশন উপহার দেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি ঠিকানার সাফল্য তুলে ধরে অব্যাহত পথচলা কামনা করেন। ঠিকানার পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে কমিউনিটির বিশিষ্টজনদের মধ্যে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, মূলধারার রাজনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জেবিবিএর প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রব মিয়া, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী, ট্রাস্টি আজিমুর রহমান বুরহান, মূলধারার রাজনীতিক মোর্শেদ আলম, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মূলধারার রাজনীতিক ফখরুল আলম। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির বর্তমান কোষাধ্যক্ষ নওশেদ হোসেন, কার্যকরী সদস্য আখতার বাবুল, সাদি মিন্টু, ফারহানা চৌধুরীসহ সোসাইটির নেতারা।তারা সোসাইটিতে নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরে ঠিকানার সাফল্য কামনা করেন।

শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মর্টগেজ বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জন ফাহিম, ইমিগ্র্যান্ট এল্ডার হোম কেয়ারের সিইও ও প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ, রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর নুরুল আজিম, নিউইয়র্ক বাংলাদেশি লায়ন্স ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি, আজকাল সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ, ব্রঙ্কসের কমিউনিটি বোর্ড-৯ এর চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ এন মজুমদার, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ ফিরোজ আহমেদ, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ কাজী সাখাওয়াত আজম, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাডভাইজর মিজানুর রহমান, কমিউনিটি লিডার নাসির আলী খান পল, আল আমিন মসজিদের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন, জুডিশিয়াল ডেলিগেট সাবুল উদ্দিন, খানস টিউটোরিয়ালের চেয়ারপারসন নাঈমা খান, বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের সদস্য ফারহানা চৌধুরী, জেবিবিএর সেক্রেটারি জেনারেল ও মূলধারার রাজনীতিক ফাহাদ সোলায়মান, সিপিএ জাকির চৌধুরী, জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসীর সাধারণ সম্পাদক ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদ আলম নমি, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, কিউ টেকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফরিদ উদ্দিন, রাজনীতিক ও কমিউনিটি নেতা আবু তালেব চৌধুরী চান্দু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার ভ্যাটের্নার্স ১৯৭১ ইউএসএ ইন্ক-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, ভাইস প্রেসিডেন্ট খোরশেদ আনোয়ার বাবলু, ভাইস প্রেসিডেন্ট মকবুল হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবিএম জাকির হোসেন, ট্রেজারার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, সেক্রেটারিয়েট মেম্বার আব্দুস সায়ীকি, অ্যাডভাইজর মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম খান, সেক্রেটারিয়েট মেম্বার মোহাম্মদ মনির হোসেন প্রমুখ। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদ ডা: ওয়াজেদ এ খান, সিলেট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বাবরুল হোসেন চৌধুরী, কমিউনিটি লিডার কাজী আশরাফ হোসেন নয়ন, ভাইস প্রিন্সিপাল ন্যালী, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, ডা. মুজিবুল হক, মাহবুব হোসেন, ডিএইচকেয়ার সিইও অ্যান্ড প্রেসিডেন্ট শাহরিয়ার রহমান, আইবি টিভির সিইও প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া মাসুদ জিকো, বর্ণমালার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, টাইম টেলিভিশনের সিইও প্রেসিডেন্ট আবু তাহের, সাংবাদিক আকবর হায়দার কিরণ, মুক্তচিন্তা সম্পাদক ফরিদ আলম, সাপ্তাহিক প্রথম আলোর সম্পাদক ইব্রাহিম চৌধুরী, চ্যানেল আইয়ের যুক্তরাষ্ট্রের সিইও রাশেদ আহাম্মেদ, এটিএন বাংলার কানু দত্ত, সাংবাদিক ও অভিনেতা শামীম শাহেদ, লেখক ও সাংবাদিক ছন্দা বিনতে সুলতান, সাহিত্য একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেন, বিপা’র পরিচালক এ্যানি ফেরদৌস, বাফা’র প্রতিষ্ঠাতা ফরিদা ইয়াসমিন, লেখক রুপা খানম, শিল্পী চন্দ্রা রায়, ফ্রেশ ফুডের কর্ণধার আল আমিন রাসেল, উৎপল চৌধুরী, ডালিয়া চৌধুরী, আমিন আহমেদ জাকির, খায়রুল কবির খোকন, ব্যবসায়ী লিটন আহমেদ, রিয়েলটর রিনা সাহা, অধ্যাপিকা হুসনে আরা, সংগীতশিল্পী রানো নেওয়াজ, লেখক রওশন হক, কমিউনিটি নেতা সৈয়দ রাব্বী, বিয়ানীবাজারের সাবেক সভাপতি মাসুদুল হক ছানু, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা ও তরুণ সংগঠক আব্দুল বাতিন, টিবিএন ২৪ এর উপস্থাপক ও সাংবাদিক রানা আহমেদ, সাংবাদিক এস এম সোলায়মান, সানম্যান গ্লোবাল এক্সপ্রেসের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মাসুদ রানা তপন, বাচিকশিল্পী মুমু আনসারী, শোটাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম, ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টের কর্ণধার টিপু, লেখক সুফের মামা, লেখক সোনিয়া কাদির, খানস টিউটোরিয়ালের সিইও ডা. ইভান খান, সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রানা ফেরদৌস চৌধুরী, শ্রী চিন্ময় সেন্টারের রঞ্জনা কে ঘোষ, মহাতপা পালিত, বাংলাদেশি আমেরিকান কমিউনিটি অব টেক্সাস-এর কাজী চৌধুরী ও নাহিদা আলী ডেইজী প্রমুখ। কালিফোর্নিয়া থেকেও বেশ কয়েকজন অতিথি যোগ দেন।

অনুষ্ঠানে ঠিকানাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিয়ানীবাজার সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মাহবুব, সিলেট গণদাবি পরিষদের পক্ষে সভাপতি মাসুদুল হক ছানু, যুক্তরাষ্ট্র জাপার পক্ষ থেকে জসিম চৌধুরী, আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, চট্টগ্রাম সমিতির পক্ষ থেকে অন্তবর্তীকালিন কমিটির অন্যতম সদস্য মাকসুদ এইচ চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠান সফল করতে সহযোগিতার জন্য ওয়ার্ল্ডস ফেয়ার মেরিনা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞা জানানো হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়। এই পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন উদীপ্ত চৌধুরী ও জনপ্রিয় শিল্পী পলি সায়ন্তী। অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ঠিকানার পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান সম্পাদকম-লীর সভাপতি এম এম শাহীন।
কেআই//