ঢাকা, সোমবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৮ ১৪৩১

অ্যাপের ফাঁদে নিঃস্ব মানুষ, তিন সংস্থাকে তদন্তের নির্দেশ

রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:২৭ এএম, ২৪ জুলাই ২০২৩ সোমবার

ডিজিটাল প্রতারণা থেকে মানুষকে রক্ষায় এক যুগান্তকারী আদেশ দিয়েছেন রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে প্রতারক চক্রকে শনাক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আদালতের শরণাপন্ন হন আইনজীবী জহুরুল ইসলাম। 

তার আবেদনটি আমলে নিয়ে রোববার দুপুরে বিচারক জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রের তিন তদন্তকারী সংস্থাকে যৌথভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।

রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ইশমত আরা বেগম জানান, আগে কোনো মামলায় একটি সংস্থাকে তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু অ্যাপ নিয়ে প্রতারণা করে মানুষকে নিঃস্ব করার ঘটনাটির যৌথ তদন্ত করতে তিন সংস্থাকে আদেশ দিয়েছেন বিচারক। বিচারক রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ, সিআইডি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) যৌথভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।

আদেশে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ৩৯(২) ধারা অনুযায়ী অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে রাজপাড়া থানা, সিআইডি, ও পিবিআই রাজশাহীর সাইবার বিষয়ে চৌকস একজন করে সাব-ইন্সপেক্টর বা তার উপরের কর্মকর্তার সমন্বয়ে যৌথ তদন্ত দল গঠনের আদেশ দেওয়া হলো।

তিন সদস্যের এই যৌথ তদন্ত দল অপরাধ বিষয়ে ডিজিটাল সাক্ষ্য গ্রহণ, প্রতারক চক্রের অফিস ও অ্যাপস ভিত্তিক প্রতারণা কার্যক্রম বন্ধসহ তদন্ত কর্মকর্তা এর আইনগত সব দায়িত্ব পালন করবেন এবং তদন্ত শেষে যৌথভাবে আদালতে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করবেন।

বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন সংযুক্ত করে প্রতারক চক্রকে শনাক্ত ও কার্যক্রম বন্ধ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম। 

অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম বলেন, অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা আগেও হয়েছে, এখনও চলছে। কিন্তু মানুষ সচেতন হচ্ছে না, আবার প্রতারক চক্রটিও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নাগরিকদের সচেতন করতে তিনি মামলাটি করেছেন। 

আদালতের আদেশটি এ কার্যক্রম বন্ধে সহায়ক হবে বলে মনে করেন তিনি।

এএইচ