ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

২৭ জুলাই শান্তি সমাবেশ ডেকেছে আ.লীগের ৩ সংগঠন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:১০ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২৩ সোমবার | আপডেট: ০৭:১২ পিএম, ২৪ জুলাই ২০২৩ সোমবার

দেশব্যাপী বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আগামী ২৭ জুলাই শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের তিন অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম-এর দক্ষিণ গেট সংলগ্ন এলাকায় এই সমাবেশ হবে।

সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

আগামী ২৭ জুলাইয়ের শান্তি সমাবেশ সফল করতে সকালে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

এতে উপস্থিত ছিলেন, আরও উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। যেকোনো ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখা হবে।

বিএনপির সমাবেশের পাল্টা সমাবেশ করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নিখিল বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। রাজনৈতিক দল হিসেবে সহাবস্থানে থেকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করব।

সাপ্তাহিক কর্মব্যস্ততার দিনে দুই দলের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা একটি স্থান জানালাম। পরে স্পট পরিবর্তন করতে পারি।

এর আগে লিখিত বক্তব্যে মাঈনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এই বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন হবে, নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে দেশবিরোধী চক্র, প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। অগ্নিহত্যার ড্রেস রিহার্সেল হিসেবে তারা ঢাকা শহরে অন্যতম বিদ্যাপীঠ বাংলা কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে জ্ঞানের আলো লাইব্রেরি ভাংচুরসহ ছাত্রীদের ওপর হামলা ও শ্লীলতাহানি করে। যার ধারাবাহিকতায় বগুড়ায় একই দিনে ইয়াকুবিয়া বালিকা বিদ্যালয়ে হামলা করে শতাধিক ছাত্রীকে আহত করে। খাগড়াছড়ি ও লক্ষ্মীপুরে শান্তি সমাবেশে হামলা করে শতাধিক মানুষকে আহত করে। গত ২১ জুলাই যুবলীগের খুলনা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নড়াইলের পেরুলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আজাদ শেখকে ওৎপেতে থাকা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করে এবং একই দিনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত ১২ ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা শেখ ওয়ালিউল্লাহ রুবেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করে। গত ৩০ এপ্রিল, তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ জামাল হোসেন এবং গত ৩০ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. আলাউদ্দিন পাটোয়ারীকে নির্মমভাবে হত্যা করে বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা।

তিনি আরও বলেন, গত ২৫ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও যুবলীগ নেতা রাকিব ইমামের হত্যাকাণ্ডের সাথেও বিএনপি-জামাতের সম্পৃক্ততা রয়েছে। গত ২১ জুন কুমিল্লা জেলার লাকসাম পৌরসভা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইফতেখার অনিককে বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলায় নিহত হয়। ইতিপূর্বে বগুড়া শহর শাখা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাহিদ হাসান ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. রমজান আলীকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে হত্যা করে। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা এটা নতুন কিছু নয়। এটা বিএনপির জন্মলগ্ন থেকেই পরিষ্কার চিত্র। জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর হাজার হাজার সামরিক-বেসামরিক মানুষকে গুম-হত্যা করে তার ক্ষমতাকে সুসংহত করেন।

কেআই//