জয়ের নেতৃত্বে দেশে প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি বিকাশমান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৩২ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২৩ বৃহস্পতিবার
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে দেশে আজ প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি বিকাশমান। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে লাখ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তিনি তরুণ প্রজন্মকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে সুপরিকল্পিতভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক শুভেচ্ছা বার্তায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
শুভেচ্ছা বার্তায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের জন্মদিনে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা এবং পরম করুণাময়ের কাছে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও কোনো মোহ জয়কে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। জাতির পিতার পরিবারের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সব মোহ ত্যাগ করে তিনি বাঙালির কাছে ফিরে আসেন। তার লব্ধ জ্ঞান বাঙালি জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিলিয়ে দেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করি। আর তারই সুযোগ্য কন্যা সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন শেখ হাসিনা এনে দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি।
তিনি বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল দর্শনের বিকশিত রূপটি বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক প্রতিনিয়ত উপভোগ করছে। তার গৃহীত পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এলআইসিটি প্রকল্পে ১০টি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ওপর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট এবং ১৮ কোটি ৬০ লাখ মানুষ মোবাইল ব্যবহার করছে। আইসিটি সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করছে সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। দেশে ৩৯টি হাইটেক পার্কে বেসরকারিভাবে ৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে, যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ১৩ হাজার তরুণ-তরুণীর।
তিনি বলেন, আইসিটি খাতে রফতানি আয় দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। এ সবকিছুই সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভিশনারি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশে দেশে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য, মর্যাদা, জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হলেও বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পরিবার তার ব্যতিক্রম। বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের সব সদস্য মেধাবী ও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের যোগ্য করে তোলার পরও তারা দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। তাই বঙ্গবন্ধুর পরিবার দেশের মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণের চিন্তা করেন এবং তা বাস্তবায়নে নীরবে-নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন।
এমএম//