ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

হারবাল-ইউনানি চিকিৎসার নামে প্রতারণা (ভিডিও)

সাইদুল ইসলাম

প্রকাশিত : ১২:৫৫ পিএম, ২৮ জুলাই ২০২৩ শুক্রবার

হারবাল, হোমিও, আয়ুর্বেদিক বা ইউনানি চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠছে অহরহ। শত শত কারখানায় নকল ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত হচ্ছে। চটকদার বিজ্ঞাপন আর আকর্ষণীয় মোড়কে আকৃষ্ট হয় সাধারণ মানুষ।

দেশে রয়েছে ৮শর বেশি ইউনানি, আয়ুর্বেদ, হারবাল ও হোমিও ওষুধ কারখানা। বেশিরভাগেই ওষুধ উৎপাদন ও মান নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। 

ভেষজ ওষুধ উৎপাদন দেখতে বেশ কয়েকটি কারখানায় অনুসন্ধানে যায় একুশে টেলিভিশন। 

দেখা যায় সবগুলো কারখানায় চটকদার মোড়কে গ্রাহক আকৃষ্ট করার অভিনব পদ্ধতিতে সাজানো রয়েছে সব পণ্য। গাছ-গাছড়ার হাব দিয়ে ওষুধ উৎপাদনের কথা থাকলেও সেসবের অস্তিত্ব নেই এখানে। থরে থরে সাজানো ক্ষতিকর কেমিকেল দিয়েই তৈরি হচ্ছে সব ধরনের ওষুধ। 

এসব কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, জিনসেং সিরাপসহ অন্তত ৬০টি ওষুধ। 
আটা-ময়দা দিয়ে হাতেই তৈরি হচ্ছে ক্যাপসুল। এমন রোগ নেই, যার ওষুধ নেই এখানে।

লাইসেন্স পেতে স্থাপিত হয়েছিলো ল্যাব। কিন্তু নেই কোনো কার্যক্রম, নেই কেমিস্ট- ফার্মাসিস্টও। 

সাভারের অন্য একটি কারখানায়  যায় একুশে টেলিভিশনের টিম। তাদের দেখেই থমকে যায় সবাই। ভেতরে বোতলজাত করা হচ্ছিল বিভিন্ন সিরাপ। কিন্তু হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় সেসব। 

নিষিদ্ধ রং, আটা, ময়দা, সুজি, চিনিসহ বনের আগাছা ও অচেনা লতা-পাতা দিয়ে তৈরি হচ্ছে এসব নকল ও ভেজাল ওষুধ। 

এই কারখানায় কর্মকর্তারা ছিলেন না কেউ। বৈধ কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি তারা। 

যদিও ধারাবাাহিক অভিযানে ভেজাল ওষুধ তৈরি অনেকটাই বন্ধের দাবি জানিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। 

এই আবস্থায় নকল ভেজাল ওষুধ বন্ধে কারখানা মালিকদের নৈতিক উন্নতির পাশাপাশি ভোক্তাদেরও সোচ্চার হবার আহ্বান সংশ্লিষ্টদের।

এমএম//