ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

নিষিদ্ধ হলেও হারবালের নামে মানহীন ওষুধ বিক্রি (ভিডিও)

সাইদুল ইসলাম

প্রকাশিত : ১১:১৭ এএম, ২৯ জুলাই ২০২৩ শনিবার

অ্যালোপেথিক ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানীতে বাড়লেও ইউনানী, হোমিও বা আয়ুবেদিক ওষুধের ক্ষেত্রে চিত্রটি একেবারেই উল্টো। তবে নিষিদ্ধ হলেও কলকাতা বা মাদ্রাজ হারবালের নামে মানহীন ওষুধ বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। রাস্তার মোড়ে, ফুটপাতে যৌন উত্তেজক ওষুধের পসরা সাজিয়ে প্রতারণা করছেন অনেকে। 

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাস, শনির আখড়া, সাভার, আশুলিয়া, বিরুলিয়াসহ এসব কারখানা তৈরি হচ্ছে কথিত ভেজস ওষুধ। মানা হচ্ছে না কারখানা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নির্দেশনা। গোপনে বা কারখানার দরজায় তালা দিয়ে ভেতরে চলে ওষুধ তৈরি কার্যক্রম।

ইকরাম ল্যাবরেটরিজ, সাভারের পাশেই এ কারখানা। এখানে উৎপাদিত হয় সব রোগের ওষুধ।  নামে ল্যাব আছে কিন্তু ক্যামিস্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

যাত্রাবাড়ীর একটি হোমিও ওষুধ কারখানা। এখানে গিয়েও দেখা গেল একই অবস্থা। ওষুধের মান রক্ষার কোন বালাই নেই। 

কলকাতা বা মাদ্রাজ হারবাল- এমন নামে দেশে কোন ওষুধের দোকান নিষিদ্ধ। যারা ব্যবসা করছেন তারাও তা জানেন। রাজধানীর সায়েদাবাস, যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়ার মত এলাকায় কলকাতা হারবালের নামে বিক্রি হচ্ছে যৌন উত্তেজক ওষুধ। কোন কোন দোকানের ভেতরে নিষিদ্ধ ওষুধ তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। 

যারা এসব ওষুধের পশড়া সাজিয়েছেন তারাও জানের এটি নিষিদ্ধ। কিন্তু কেন এমন বেআইনী ব্যবসা?- তার কোন উত্তর নেই।  

এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে খোলা আকাশের নীচে বা পথে পাশে টেবিল বসিয়ে ক্ষতিকর যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি করছেন অনেকে। কারওয়ান বাজার, এখানে ঘুরে যৌন উত্তেজক অনন্ত ৮-১০টি দোকানের খোঁজ মিললো। 

বিক্রেতারা বলছেন, ভ্রাম্যমাণ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের চাহিদা থাকায় এমন ওষুধ বিক্রি করছেন তারা। জানান, এগুলো বিক্রি নিষিদ্ধ আর খাওয়া ক্ষতিকর তা তারা জানেন।

তারা জানান, পারমিশন নাই, তবে অনেকদিন দরে বিক্রি করছি কোনো সমস্যা তো হচ্ছে না। এগুলো বিক্রির অনুমতি নাই তা সবাই জানে।

এসব ওষুধ কারখানা বন্ধ ও তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযানের কথা জানায় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। স্বীকার করলেন, কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। 

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নূরুল আলম বলেন, “বিভিন্ন ধরনের যৌন রোগের ওষুধ কারখানা সিলগালা করেছি, পিও বাতিল করা করেছি, অনেককে জেলে পাঠিয়েছি।”

অ্যালোপেথিক ওষুধে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো। বিশ্বের অনন্ত ১৫৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ ।  

দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির পাশাপাশি সব ধরনের ওষুধ শিল্প বিশ্ব মানের হবে এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের। 

এএইচ