ত্বীন ফল চাষে সফল ঠাকুরগাঁওয়ের তরুণ
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:৪০ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২৩ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:১৮ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২৩ বৃহস্পতিবার
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরানের সুরা ত্বীনে উল্লেখিত মধ্যপ্রাচ্যের ত্বীন ফল ঠাকুরগাঁওয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদ করে প্রথমবারেই সফল হয়ে সবাইকে তাঁক লাগিয়ে দিয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা আবু বক্কর সিদ্দিক। দ্বিতীয় বছর বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদে লাভ করেছেন কয়েক লাখ টাকা। পুষ্টি সমৃদ্ধ এই ফল স্বাদে ও গুণে অতুলনীয় হওয়ায় চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন।
তরুণ উদ্যোক্তা আবু বক্কর বলছেন, সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে দুর্লভ এই ফলের চাষাবাদ সম্প্রসারিত করা সম্ভব। কৃষি বিভাগও সব ধরণের সহায়তা দিয়ে নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের আবু বক্কর সিদ্দিক বছর তিনেক আগে কয়েকটি ত্বীন ফলের চারা সংগ্রহ করে পরীক্ষামূলক আবাদ শুরু করেন। ওই বছরই দুর্লভ এই ফলের সফলতায় এলাকাবাসীকে তাঁক লাগিয়েছেন আবু বক্কর। প্রথম বছরই উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে ৪০ হাজার টাকা লাভবান হন তরুণ এই উদ্যোক্তা।
এ বছর তার বাগানে ১১০টি ত্বীন ফলের গাছ থেকে কাঙ্খিত ফলনও পাচ্ছেন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত এক লাখ টাকার ত্বীন ফল এবং দুই লাখ টাকার ত্বীন ফলের চারা বিক্রি করেছেন সফল এই উদ্যোক্তা।
স্বাদে গুণে অতুলনীয় হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে এই ফলের চাহিদা। জেলার গন্ডি পেরিয়ে এবছর বক্করের এই বাগানের ত্বীন ফল চলে যাচ্ছে পাশের জেলাগুলোতেও। সরকারি পৃষ্টপোষকতা পেলে এই ফল চাষ সম্প্রসারণে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে জানায় তরুণ এই উদ্যোক্তা।
ম্যানেজম্যান্ট বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরির পিছনে না ঘুরে ফল বাগান করতে ঝুঁকে পরেন আবু বক্কর সিদ্দিক।
তার বাগানে প্রতিদিন কাজের নিশ্চয়তা ও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় শ্রমিকদেরও। এই বাগান দেখতে এবং ফল ও চারা সংগ্রহে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন অনেকেই। ত্বীন ফলের আবাদ বৃদ্ধি পেলে দেশের কৃষি অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে বলে জানান স্থানীয়রা ।
পবিত্র কোরআন শরীফে এই ফলের কথা উল্লেখ রয়েছে এবং অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই ফল এখন ঠাকুরগাঁওয়ের মাটিতে বাণিজ্যিকভাবে আবাদ শুরু হওয়ায় সম্ভাবনা বলে জানান এই শিক্ষাবিদরা।
জেলায় প্রথমবারের মত ত্বীন ফল উৎপাদনে সফল হয়েছেন উল্লেখ করে কৃষি বিভাগ বলছে, মরুভূমি দেশের এই ফলের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বাগান দেখে ত্বীন ফল উৎপাদনে অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছে।
পুষ্টিগুণ সম্পন্ন মরুভূমির এই ফলের আবাদ বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসবেন কৃষি উদ্যোক্তারা, সেই সাথে সমৃদ্ধ হবে জেলার তথা দেশের কৃষি অর্থনীতি, এমনই প্রত্যাশা ঠাকুরগাঁওবাসির।
এএইচ