ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

আর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না পেট্রাপোল চেকপোস্টে

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:৪৯ এএম, ৪ আগস্ট ২০২৩ শুক্রবার

ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার জন্য ভারতের পেট্রাপোল আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এভাবে দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কষ্টকর। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে। তবে এখন থেকে আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। যাত্রীদের সুবিধার্থে এবার চালু হল অনলাইন স্লট বুকিং।

এর ফলে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের ঝামেলামুক্ত হলেও বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া যাত্রীদের কোন উপকারে আসবে কিনা তা জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বেনাপোল চেকপোস্টের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্টে ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (এলপিআই) চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র। সঙ্গে ছিলেন পেট্রাপোল ল্যান্ডপোর্ট অথরিটির ম্যানেজার কমলেশ সাইনি।

পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেসব মানুষ ভারত থেকে বাংলাদেশে যেতে চান, তারা এক সপ্তাহ আগে নিজেদের মোবাইল নম্বর দিয়ে ঘরে বসে ওয়েবসাইটে ইমিগ্রেশনের স্লট বুকিং করতে পারবেন। বুকিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে দেওয়া হবে।  যাত্রীরা তাদের সুবিধামতো স্লট বুক করে সরাসরি ইমিগ্রেশনের কাউন্টারে আসতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে তাদেরকে আর সীমান্তে দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।

এছাডাও কিউআর কোডের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ১০০টি স্লট বুক করা যাবে। প্রাথমিকভাবে একদিনে ১২ ঘণ্টার ১২শ’টি স্লটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। 

পেট্রাপোল ল্যান্ডপোর্ট অথরিটির ম্যানেজার কমলেশ সাইনি বলেন, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যাত্রীরা বিনা পয়সায় স্লট বুক করতে পারবেন, পরে অ্যাপস চালু হবে। যাত্রীদের মসৃণভাবে যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে শুধুমাত্র ভারত থেকে যেসব পর্যটক বাংলাদেশে যাবেন, তাদের জন্যই এই স্লট বুকিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে।

ব্যবস্থা চালু হওয়ায় খুশি যাত্রীরা। তারা মনে করছেন, এতে দুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। কারণ এতদিন ভারত থেকে বাংলাদেশে আসতে হলে পেট্রাপোল গিয়ে নথিপত্র পরীক্ষার জন্য দীর্ঘলাইনে দাঁড়াতে হতো। ঝড়-বৃষ্টি গরমে তারা অসুস্থও হয়ে পড়তো অনেকে। 

আনিছুর রহমান নামে ভারত থেকে আসা এক বাংলাদেশী যাত্রী বলেন, ‘আশা করছি, এই ব্যবস্থা চালু হলে আমাদের দুর্ভোগ কমবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না। তবে যাওয়ার সময়ও একই ব্যবস্থা অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।’

সুভাষ চন্দ্র সরকার নামে বাংলাদেশগামী এক ভারতীয় যাত্রী বলেন, এলপিএআই’র পক্ষ থেকে যে স্লট বুকিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতে আগামীতে বাংলাদেশের আসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সুবিধা হবে। দীর্ঘ সময় লাইনে ধরার ভোগান্তি আর পোহাতে হবে না। আগামীতে আগে থেকেই স্লট বুকিং করে আসবেন বলেও জানান তিনি। 

এএইচ