ব্যক্তি উদ্যোগে মানমন্দির, মহাকাশ গবেষণার সুযোগ (ভিডিও)
তৌহিদুর রহমান
প্রকাশিত : ১১:০১ এএম, ৫ আগস্ট ২০২৩ শনিবার
গ্রহ-নক্ষত্রসহ মহাকাশের অপার সৌন্দর্য্য দেখতে প্রয়োজন কৌতুহলী ও অনুসন্ধানী মন। দরকার গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি সামগ্রিসমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠান। গাজীপুরে এমনই একটি অবজারভেটরি বা মানমন্দির গড়ে উঠেছে। মহাকাশ গবেষণায় এটি ভূমিকা রাখতে পারে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
অপার রহস্যে ভরা মহাকাশ। খালি চোখে যার সামান্যই দেখা যায়। তবে প্রযুক্তি আর বিজ্ঞানের সহায়তায় মহাকাশের সৌন্দর্যে্যর খানিকটা দেখতে পারে মানুষ। এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা জরুরি।
এতে প্রয়োজন মানমন্দির বা অবজারভেটরি প্রতিষ্ঠান। ঢাকার অদূরে গাজীপুরে বিজ্ঞান-চিন্তুক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মৃধা বেনু নিজ ব্যবস্থাপনায় এমন একটি মানমন্দির গড়ে তুলেছেন। চারতলা ভবনের ওপরে বসানো হয়েছে ডোম। ডোম হলো গম্বুজাকৃতির এক ধরনের ঘর। যাতে বসানো হয় টেলিস্কোপ।
মুলত পৃথিবী ও মহাকাশ পর্যবেক্ষণ এবং পরিমাপের জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ গবেষণাগারের জন্যই তৈরি হয় এই অবজারভেটরি বা মানমন্দির।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মৃধা বলেন, “২২ বছর আগে প্রথম চিন্তা করি এবং ধীরে ধীরে এটি গড়ে তোলা হয়েছে। এই ঠিকানায় প্রতিবছরই আসতাম, শীতকালে ক্যাম্প করার জন্য।”
তারার অবস্থান পরিমাপের জন্য সেক্সট্যান্ট, আর সমতলে দৃশ্যমান বিন্দুর মধ্যে কোণ পরিমাপের জন্য থিওডোলাইট, টেলিস্কোপসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। ফলে কোটি মাইলের দূরত্ব ঘুচিয়ে দৃষ্টিসীমায় তারকারাজি।
অধ্যাপক দ্বিপেন বলেন, “উন্নতমানের একটা দূরবীন বসাতে চাই, যেটা অটোমেটেড হবে। আর সেটার সঙ্গে যুক্ত হবে ছবি তোলার স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি এবং তার সঙ্গে উন্নত গবেষণা না হলেও শিক্ষানবীশ গবেষণার জন্য কাজ করবো।”
প্রতিদিন শিক্ষর্থীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ এই মানমন্দিরে আসেন। যা দেখে বিজ্ঞান চর্চায় আগ্রহী হচ্ছে শিশুরাও।
তরুণ শিক্ষার্থীরাও যাতে গবেষক হয়ে উঠতে পারে সেজন্য বিশ্বের বড় বড় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সাথে কাজ করতে চান এই মানমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা।
দেখতে ছোট্ট একটা তিনতলা ভবন, অথচ এখান থেকে দেখা যায় গ্রহ-নক্ষত্রসহ সৃষ্টির অনেক সৃষ্ট। মূলত এটি বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্যই এই উদ্যোগটি।
এএইচ