অপহরণের ৭ ঘন্টা পর শিক্ষার্থী উদ্ধার, অপহরণকারী আটক
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:০০ এএম, ৬ আগস্ট ২০২৩ রবিবার
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অপহরণের ৭ ঘন্টা পর এক স্কুলছাত্রীকে (১৬) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রধান আসামি রামগতি পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন এনাম পাটওয়ারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে তাকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে নারায়াণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকা থেকে ছাত্রীকে উদ্ধার ও এনামকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন।
উদ্ধার হওয়ার কিশোরী চরসেকান্তর সফিক একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। গ্রেপ্তার এনাম আলেকজান্ডার ইউনিয়নের সবুজ গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ওই কিশোরীকে ছাত্রলীগ নেতা এনাম প্রেমের প্রস্তাবসহ নানাভাবে উত্যক্ত করতো। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রলীগ নেতা তাকে অপহরণের পরিকল্পনা করে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে আলেকজান্ডার এলাকা থেকে সিএনজিযোগে ওইছাত্রী বাড়ি যাচ্ছিল। এসময় রামদয়াল বাজার এলাকায় পৌঁছলে এনাম ও তার সহযোগীরা সিএনজির গতিরোধ করে। একপর্যায়ে সিএনজি চালক জাফর আহমেদকে মারধর করে ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ৪ জনের নামে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন।
থানা পুলিশ জানায়, ঘটনার পরপরই ছাত্রীর পরিবার থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এতে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়। এসময় গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্ত এনামকে।
রামগতি পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্বাস হোসেন বলেন, এনামের গ্রেপ্তারের বিষয়টি শুনেছি। তার ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, দ্রুত সময়ে মধ্যে আমরা ভিকটিমকে উদ্ধার ও প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার এনামকে আদালতে সৌপর্দ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
এএইচ