পান্না কায়সারের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:০৮ পিএম, ৬ আগস্ট ২০২৩ রবিবার | আপডেট: ০৩:২০ পিএম, ৬ আগস্ট ২০২৩ রবিবার
জাতীয় শহিদ মিনারে শহিদ জায়া পান্না কায়সারের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করলো সর্বস্তরের মানুষ। তার চলে যাওয়ায় শোকাহত সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সর্বস্তরের মানুষ।
রোববার (৫ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয় শহীদ জায়া পান্না কায়সারের মরদেহ। এসময় ঢল নামে সর্বস্তরের মানুষের।
শহিদ জায়া পান্না কায়সার মুক্তিযুদ্ধে স্বামী শহীদুল্লাহ কায়সারকে হারানোর পর দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে নতুন করে সংগ্রাম শুরু করেন। শিক্ষকতা, সাংস্কৃতিক অঙ্গন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন, রাজনীতি সব খানেই সক্রিয় ছিলেন। আজীবন সংযুক্ত থেকেছেন শিশু কিশোরদের সংগঠন খেলাঘরের সাথে। সেই পান্না কায়সার যখন লাশ হয়ে এলেন জাতীয় শহিদ মিনারে, তাকে শ্রদ্ধা জানালো খেলাঘরের শিশু কিশোররা।
এরপর একে একে নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান তার মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক কমিটি, ধানসিঁড়ি কমিউনিকেশন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ঢাকা থিয়েটার, সম্প্রীতি বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সংস্কৃতি মঞ্চ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন পরিষদ, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ, ছায়ানট, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি, প্রজন্ম একাত্তরসহ আরও অসংখ্য সংগঠন ও ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী এ মানুষটা চলে যাওয়ায় অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের মাঝে পান্না কায়সার অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন বলেও আশা বিশিষ্টজনদের।
মায়ের হঠাৎ করে এই চলে যাওয়া কোনভাবেই মানতে পারছেন না মেয়ে শমি কায়সার। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় শমি কায়সারের বাসায়ই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এরপর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ নেয়া হয় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাকে দাফন করা হবে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
এএইচ